নয়াদিল্লি: অলিম্পিক গেমসের ইতিহাসে এবারই সেরা সাফল্য পেয়েছে ভারত। সদ্য সমাপ্ত অলিম্পিক্সে ভারতীয়দের সাফল্যের কথা ফের উঠে এল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়। এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মোদি বলেছেন, ভারতীয়দের ক্রমবর্দ্ধমান আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন এই সাফল্য। এর থেকে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, ভারতীয় তরুণরা কঠোর পরিশ্রম করতে ও ঝুঁকি নিয়ে তার ফল পেতে চাইছেন।
কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই)-এর বার্ষিক সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শিল্পমহলকে ভারতীয়দের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির মতো বিষয়ের ওপরও নজর দিতে হবে । প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি অলিম্পিক্সে ভারতের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে। এখন ভারতের তরুণরা যখন মাঠে নামেন, তখন তাঁদের মধ্যে কোনও সঙ্কোচ থাকে না। তাঁরা কঠোর পরিশ্রম করতে চান, ঝুঁকি নিতে চান এবং সর্বোপরি এর ফল পেতে চান। দেশ এখন এই জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। তরুণদের মধ্যে আবেগের বহিঃপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, গত সাত-আট বছরে স্টার্ট আপের সংখ্যা তিন-চার থেকে বেড়়ে ষাটে পৌঁছে গিয়েছে। তিনি বলেছেন, এই ইউনিকর্নের সংখ্যা বৃদ্ধি নতুন ভারতের পরিচয় হয়ে উঠছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই উইনিকর্ন দেখা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য প্রযুক্তি, সোশ্যাল কমার্সে উইনিকর্নের সংখ্যায় এই বৃদ্ধি দেশে প্রতিটি পর্যায়ে পরিবর্তনের সূচক।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্টার্ট আপের এই রেকর্ড সংখ্যা বৃদ্ধি নয়া যুগের সূচনা করেছে ভারতীয় কোম্পানি, ভারতীয় বাজারে। অসাধারণ বৃদ্ধির জন্য ভারতের যে প্রয়োজনীয় সম্পদ রয়েছে ও অপরিসীম সুযোগ রয়েছে, এই ঘটনায় তারই প্রতিফলন ঘটেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ব্যবসায় ঝুঁকি নেওয়া ও নিজের সক্ষমতায় আস্থাশীল হওয়ার প্রবনতা বাড়ছে। এমনকী অতিমারীর সময়েও স্টার্টআপগুলির উচ্চাকাঙ্খা নয়া মাত্রা স্পর্শ করেছে। ভারতীয় স্টার্টআপগুলিতে লগ্নিকারীদের রেকর্ড সাড়া মিলেছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, দেশে প্রযুক্তির প্রতি উৎসাহ সরকারকে বিভিন্ন সংস্কারের ব্যাপারে মনোযোগী করে তুলেছে।
দেশের আর্থিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে শিল্পের প্রধান ভূমিকার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শিল্পক্ষেত্রের অবদানের জন্য ভারতের অর্থনীতি গতি বৃদ্ধি শুরু হয়েছে।তিনি বলেছেন, মাস্ক, পিপিএ, ভেন্টিলেটর থেকে ভ্যাকসিন, দেশের যখন যা প্রয়োজন হয়েছে, শিল্পমহল এগিয়ে এসেছে এবং সম্ভাব্য সমস্ত দিক থেকে অবদান রেখেছে।