উত্তরকাশী: উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে মৃত্যু হল এক শিশু-সহ একই পরিবারের তিন সদস্যের। নিখোঁজ আরও চারজন। কয়েকদিন ধরেই উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল উত্তরকাশীর মান্ডো গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে জলের তোড়ে ভেসে যায় বেশ কয়েকটি বাড়ি।
রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ)-এর টিম ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জগদম্বা প্রকাশ জানিয়েছেন যে, মাণ্ডো গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ চারজন। ওই অঞ্চলে উদ্ধার অভিযান চলছে।
এসডিআরএফ জানিয়েছে, প্রসাদকে জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিক (ডিডিএমও) প্রাথমিকভাবে জানান যে, গঙ্গোত্রী রোডে নর্দমা থেকে জল বেরিয়ে আসায় উত্তরকাশীর গ্রামে কয়েকজন আটকে পড়েছেন। এই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এসডিআরএফের দল এবং উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
আইএমডি জম্মু ডিভিশনে পশ্চিম হিমালয় অঞ্চল জুড়ে, উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশ, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, উত্তর-পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ, পূর্ব রাজস্থান,সংলগ্ন পশ্চিম রাজস্থান, দক্ষিণ হরিয়ানা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও পাশ্ববর্তী অঞ্চলগুলিতে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছিল। ২১ জুলাই পর্যন্ত এই অঞ্চলগুলিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল মৌসম ভবন।
অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রের চেম্বুর ও ভিকরৌলিতে দেওয়াল ও বাড়ি ধসে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৫। রাতভর বৃষ্টিতে ফের বানভাসি মুম্বই। কোনও কোনও জায়গায় রাস্তায় কোমর-সমান জল। রেললাইন ডুবে যাওয়ায় বিপর্যস্ত ট্রেন পরিষেবা। দিল্লিতেও প্রবল বৃষ্টির জেরে একাধিক এলাকা জলমগ্ন। বিপর্যস্ত যান চলাচল।
উল্লেখ্য, উত্তরাখণ্ডে প্রবল বর্ষণের কারণে বেশিরভাগ নদীর জলই বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। গঙ্গা, যমুনা, ভাগীরথী, অলকানন্দ, মন্দাকিনী, পিন্ডর, নন্দাকিনী, সরযু, গোরি, কালি, রামগঙ্গা সমস্ত নদীতেই জলস্তর বেড়ে গিয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের বেশি কিছু জায়গায় প্রবল বর্ষণ হয়েছে। রায়ওয়ালায় সর্বাধিক ১২০ মিলিমিটার, ঋষিকেশে ১০৫.২ মিলিমিটার, কোটদ্বারে ৯৭ মিলিমিটার, খটিমাতে ৮৩মিলিমিটার, মোহকমপুরে ৮০ মিলিমিটার, মসুরিতে ৭০ মিলিমিটার, জসপুরে ৫০ মিলিমিটার ও সহসপুরে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এরইমধ্যে উত্তরকাশীতে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে।