নয়াদিল্লি: ক্ষুদ্র সঞ্চয় স্কিমে সুদের হার জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ০.১ শতাংশ হ্রাসের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানাল কংগ্রেস। বর্তমানে সংসদের চলতি বাজেট অধিবেশনে ইস্যুটি তোলা হবে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা। শুক্রবারই কেন্দ্রের বিজেপি-এনডিএ সরকার এনএসসি, পিপিএফ সহ সব ধরনের ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের সুদের হার ছাঁটার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে যা মধ্যবিত্তের কপালে দু্শ্চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিতে পারে। কংগ্রেস মুখপাত্রটি কটাক্ষ করেছেন, লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা, জনসমর্থনের জোরে ক্ষমতায় ফেরার জন্য এভাবেই জনসাধারণকে ‘ফিরতি উপহার’ দিল শাসক শিবির।
খেরা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ইতিহাসে খুব কম সরকারই নরেন্দ্র মোদি সরকারের মতো এমন বিরাট জনাদেশ পেয়েছে। কিন্তু যে ক্ষু্দ্র সঞ্চয় প্রকল্পের ওপর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ নির্ভর করেন, তার সুদের হার ছেঁটে দিয়েই তাদের ‘শাস্তি দিল’ এই সরকার। মানুষকে এটাই সরকারের রিটার্ন গিফট!
কংগ্রেস-ইউপিএ সরকারের জমানায় ২ বছর মেয়াদের ডিপোজিট স্কিম, ৫ বছরের ডিপোজট স্কিম, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড ও প্রবীণ নাগরিকদের সঞ্চয় প্রকল্পে সুদের হার যথাক্রমে ৮.৪, ৮.৫, ৮.৭ ও ৯.২ শতাংশ ছিল বলে দাবি করেন খেরা। এও বলেন, বিজেপি-এনডিএ আমলে সেই সুদের হার কমে যথাক্রমে ৬.৯, ৭.৭, ৭.৯ ও ৮.৬ শতাংশ হয়েছে। ভারতের গার্হস্থ্য সঞ্চয়ে ২০ বছরে এখন সবচেয়ে কমেছে। তার নানা কারণের অন্যতম এটাই যে, বিজেপি সরকার ক্ষুদ্র সঞ্চয় স্কিমে সুদের হার কমানোর জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু যে সুদে ঋণ দেওয়া হয়, তার হার কংগ্রেস জমানায়ও বেশি, চড়া ছিল বলে উল্লেখ করা হলে খেরা পাল্টা জানান, তিনি ‘বাঘা অর্থনীতিবিদদের’ সঙ্গে বিতর্কে জড়াতে চান না, তবে বলতে চান যে, এমন সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক, যাতে মানুষ লাভবান না হোক, অন্তত ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।