প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পর্ষদও একগুচ্ছ ট্যুইটে রাহুলের ঘোষণার সমালোচনা করে, তবে সেটা মডেল নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়ে গিয়েছে বলে জনৈক ট্যুইটার ব্যবহারী উল্লেখ করার পর সেগুলি মুছে দেয়। উপদেষ্টা পর্ষদ বলেছিল, গত ৫ বছরে আর্থিক সমৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি ও আর্থিক শৃ্ঙ্খলার মধ্যে ভারসাম্য আনতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের আয়ের গ্যারান্টি স্কিম হয় এই ভারসাম্য নষ্ট করবে অথবা সরকারের জরুরি ব্যয়ে বিরাট কোপ মারবে। দুটোই বিপজ্জনক। প্রস্তাবিত স্কিম আর্থিক শৃঙ্খলা ও তার প্রয়োগের পরীক্ষায় ব্যর্থ।
এদিকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও রাহুলের সবচেয়ে বঞ্চিত পরিবারগুলিকে বছরে ৭২ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিকে ‘ধোঁকা’ বলেছেন, কংগ্রেসের গরিবকে ‘প্রতারণা’র আরেকটা প্রয়াস বলে খারিজ করেছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, গরিবি দূর করার নামে কংগ্রেসের গরিবকে প্রতারণা, দেশকে বিপথে চালানোর ইতিহাস আছে। কেননা এতে তাদের শুধুই স্লোগান দেওয়া হয়েছে, সম্পদ ও হাতিয়ার নয়।
জেটলির বক্তব্য, নেহাত স্লোগান, বিবৃতিতে গরিবি ঘোচে না। সম্পদের ব্যবস্থা করেই তা দূর করা যায়, যা মোদি সরকার করছে, গরিবকে বাড়ি, গ্যাস সংযোগ দিয়ে, রাস্তার ব্যবস্থা করে। আপনারা (কংগ্রেস) গরিবকে অনেকবার প্রতারিত করেছে, আবারও করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এবার মানুষ সেই ফাঁদে পা দেবেন না।
জেটলি বলেন, রাহুল স্কিমটা বিশদে জানাননি, তাঁর দলের নেতারা বলছেন, এতে আর্থিক শৃঙ্খলা নষ্ট হবে না, যার অর্থ, চলতি স্কিমকে নতুন মোড়কে পেশ করা হবে। কিন্তু মোদি সরকার গরিব পরিবারগুলিকে ৫.৩৪ লক্ষ কোটি টাকা দিয়ে চলেছে। কংগ্রেস গরিবদের ৩.৬ লক্ষ কোটি টাকা দিয়ে এমন কী দয়া-দাক্ষিণ্য করবে? আমরা এখনই তাদের এর দেড়গুণ বেশি দিচ্ছি। কংগ্রেস বছরে ৭২০০০ টাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, কিন্তু গরিবতম পরিবারগুলির ২০ শতাংশ নানা সরকারি স্কিমে এখনই ১.০৬ লক্ষ টাকা করে পাচ্ছে।