বেঙ্গালুরু: কর্নাটকের টুমাকুরুতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) পক্ষে সওয়াল করে সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভ, প্রতিবাদে নামা লোকজনকে অতীতে সংখ্যালঘুদের ওপর পাকিস্তানের দমনপীড়নের নিন্দা করতে বললেন নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেস ও বিরোধীদেরও এ ব্যাপারে একহাত নেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আজ দুদিনের কর্নাটক সফরে পৌছন বৃহস্পতিবার। রাজ্যে তাঁর একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে।


টুমাকুরুর শ্রী সিদ্দাগঙ্গা মঠের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পাকিস্তানের সৃষ্টি হয়েছিল ধর্মের ভিত্তিতে, সেখানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, দমনপীড়ন চলেছে। তাঁরা বাধ্য হয়েছেন ভারতে পালিয়ে আসতে। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব না হয়ে এই উদ্বাস্তুদের বিরুদ্ধেই সভা-সমাবেশ করছে কংগ্রেস ও তার সঙ্গীসাথীরা। পাকিস্তান থেকে আসা সংখ্যালঘুদের আমরা ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না, তাঁদের রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভকারীদের অবশ্যই অতীতে পাকিস্তানের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হওয়া উচিত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ওদের বাধা কীসের? আসলে কংগ্রেস, তার সহযোগীরা ও তাদের তৈরি ইকোসিস্টেমই ভারতের সংসদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনারা প্রতিবাদ করতে চাইলে পাকিস্তানের অত্যাচারের নিন্দা করুন। পাকিস্তান তৈরি হয়েছিল ধর্মের মাপকাঠিতে। হিন্দু, জৈন, খ্রিস্টান সহ সংখ্যালঘুরা গত ৭০ বছরে দুর্ব্যবহার পেয়েছেন পাকিস্তানে। কেন এতগুলি বছর কংগ্রেস এর প্রতিবাদ করেনি? উল্টে এখন বিরোধীরা সিএএর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে! ওরা ভারতের সংসদের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে!
ভারত নতুন উদ্দীপনা, চেতনা, মেজাজ নিয়েই একবিংশ শতকের তৃতীয় দশকে পা রেখেছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, গত দশকের সূচনায় দেশে কেমন পরিবেশ দেখেছেন, সেটা মনে করুন। কিন্তু এই তৃতীয় দশক শুরু হল প্রত্যাশা, আকাঙ্খা, বাসনার শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে। প্রধানমন্ত্রীর সফর মাথায় রেখে ব্যাপক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্যের ইয়েদুরাপ্পা সরকার। বেলুন, মানবহীন আকাশযান, সমেত কোনও ধরনের বস্তুই মোদির সফরের মধ্যে আকাশে উড়তে পারবে না বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার ভাস্কর রাও।