নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত সারা দেশ। অতিমারী মোকাবিলায় বিভিন্ন বিধিনিষেধের পাশাপাশি টিকাকরণ অভিযানও চলছে। যদিও টিকার অপ্রতুলতা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিতে কেন্দ্রের টিকাকরণ নীতির সমালোচনা করতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। সরকারের করোনা টিকাকরণ নীতির সমালোচনা করে কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করতে কমিটির চেয়ারপার্সন অধীর চৌধুরীকে বাধা দেন বিজেপি ও জেডিইউ সদস্যরা। ২০২১-২২ এ কমিটি কোন বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করবে, তা স্থির করতে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। উপসংহারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অধীর করোনা মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতা ও টিকাকরণ নীতির সমালোচনা করে একটি মন্তব্য করতে ওঠেন বলে জানা গিয়েছে। অধীর সরকারের ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও বিতরণ নিয়ে কমিটি তদন্ত করুক, এমনটাই চেয়েছিলেন। কমিটির নিয়ম অনুযায়ী, সমস্ত সদস্যদের মধ্যে সহমত না হওয়া পর্যন্ত কোনও বিষয়ে আলোচনা করা যায় না।  কমিটির বৈঠকে অধীর তাঁর বিবৃতির দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ পড়ার আগেই বিজেপি ও জেডিইউ সদস্যরা বাধা দেন। 
অধীর ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন বিজেপির ভূপেন্দ্র যাদব, সত্যপাল সিংহ, রাজীব চন্দ্রশেখর, জেডিইউ-র রাজীব রঞ্জন সিংহ, ডিএমকে নেতা টিআর বালু, এআইএডিএমকে-র থাম্বিদুরাই, শিবসেনার রাহুল শেওয়ালে, বিজেডির ভর্তুহরি মহাতাব ও কংগ্রেসের শক্তি সিংহ গোহিল। 
সূত্রের খবর, বিজেপি ও জেডিইউ সদস্যরা অধীরের মন্তব্যের সমালোচনা করেন। তাঁরা বলেন পিএসি কোনও রাজনৈতিক মন্তব্যের মঞ্চ নয়। তাঁরা অধীরকে মনে করিয়ে দেন, এই বৈঠক টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হচ্ছে না। তাই এখানে কোনও রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টায় কোনও লাভ নেই। 
পাল্টা অধীর বলেন,  এখন প্রকাশ্যে যে বিষয়গুলি রয়েছে, সেই বাস্তবই তিনি তুলে ধরছেন।
কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের পদস্থ আধিকারিকদের সামনেই বাদানুবাদ চলে। বৈঠকে যোগদানকারী এক সদস্য জানান, বৈঠকে যা হয়েছে, তা প্রত্যাশিত ছিল না, এটা এড়ানো যেত।
এর আগে বৈঠকে বালু বলেন যে, অতিমারী মোকাবিলা ও টিকার জন্য যেহেতু সরকারি অর্থ খরচ হচ্ছে, সেহেতু এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তখন কোনও সদস্য আপত্তি জানাননি। সহমত না হওয়ায় ভ্যাকসিনের উৎপাদন ও বন্টনের প্রসঙ্গটি এ বছর পিএসি-র আলোচ্যসূচী হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি।