নয়াদিল্লি: রাফালে যু্দ্ধবিমান ডিল নিয়ে ফেসবুক পোস্টে ১৫টি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে রাহুল গাঁধীর অভিযোগের পাল্টা অরুণ জেটলির। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দাবি, এনডিএ সরকার ২০১৫-র ১০ এপ্রিল ফ্রান্সের সঙ্গে ৩৬টি রাফালে যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ২০০৭ সালে তত্কালীন ইউপিএ সরকারের চেয়ে ‘ভাল’ শর্তে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
জেটলি লিখেছেন, আমি প্রশ্নগুলি করছি কেননা ওনার হঠকারিতায় জাতীয় স্বার্থ মার খাচ্ছে। আশা করব, রাহুল গাঁধী ও কংগ্রেস অবিলম্বে জবাব দেবেন। রাফালে ডিল নিয়ে কংগ্রেস পার্টির অসত্যের ভিত্তিতে মিথ্যা প্রচারের ফলে দুটি সরকারের চুক্তি, বোঝাপড়া নিয়ে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, বিরাট ক্ষতি হয়েছে জাতীয় স্বার্থের।
রাফালে বিতর্ক দাঁড়িয়ে রয়েছে সম্পূর্ণ মিথ্যার ভিত্তিতে, এই দাবি করে জেটলি বলেন, জাতীয় দলগুলি ও তাদের দায়িত্বশীল নেতাদের কাছে এটাই প্রত্যাশিত যে, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত লেনদেনের ব্যাপারে মৌলিক তথ্যগুলি সম্পর্কে সম্যক জেনে প্রকাশ্যে আলোচনায় নামবেন তাঁরা। কংগ্রেস, রাহুল গাঁধী তিনটি অভিযোগে দোষী। প্রথমত, ডিলটি নিয়ে এক দশকের বেশি দেরি করিয়ে দেওয়ায় জাতীয় সুরক্ষা বিপন্ন হয়েছে, দাম ও পদ্ধতি নিয়ে মিথ্যাচার হয়েছে, এইসব ইস্যু তুলে প্রতিরক্ষাসামগ্রী সংগ্রহে আরও বিলম্ব করা হয়েছে। একথা বলাই বাহুল্য যে, চুক্তির গোপনীয়তা রক্ষার ধারায় আমার হাত-পা বাঁধা, আমি যা বলব বা প্রশ্ন করব, তা সেই সীমার মধ্যেই রাখতে হবে।
জেটলির অভিযোগ, রাহুল দিল্লি ও কর্নাটকে যথাক্রমে এ বছরের এপ্রিল ও মে মাসে প্রতিটি যুদ্ধবিমানের দাম ৭০০ কোটি টাকা বলেছেন। সংসদে তিনি বলেছেন, দাম ৫২০ কোটি টাকা আবার জয়পুরে বাড়িয়ে বলেছেন ৫৪০ কোটি টাকা। হায়দরাবাদে নতুন দামের উল্লেখ করেছেন-৫২৬ কোটি টাকা। সত্য একটাই হয়, মিথ্যার অনেক চেহারা থাকে। রাফালে ক্রয় সংক্রান্ত তথ্যের তোয়াক্কা না করেই কি এইসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে?