অযোধ্যা: দীপাবলির এখনও কিছুদিন বাকি আছে। তবে এখন থেকেই অযোধ্যায় দীপাবলি উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার অযোধ্যায় দীপাবলিতে জ্বালানো হবে সাড়ে সাত লক্ষ প্রদীপ। অবধ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭,০০০ স্বেচ্ছাসেবক নিজেদের গড়া রেকর্ডই ভেঙে দিতে তৈরি। অযোধ্যার মেয়র হৃষীকেশ উপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘এবারের দীপোৎসবে নতুন রেকর্ড গড়ার চেষ্টা করা হবে। এ বছরের দীপোৎসব অনেক বড় আকারে এবং ঐশ্বরিকভাবে করার চেষ্টা চলছে। শুধু সরযূ নদীর তীরেই না, রামনগরীর সব ঐতিহাসিক জলাশয় এবং পৌরাণিক ভবনগুলিতেও প্রদীপ জ্বালানো হবে।’


অযোধ্যা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঐতিহাসিক শহরটিকে দীপাবলির সময় নববধূর মতো করে সাজিয়ে তোলা হবে। গত বছর রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার পর এবার দ্বিতীয় দীপাবলি। করোনা আবহে অন্যান্যবারের মতো দীপাবলিতে সাধারণ মানুষের যোগদান তেমন না থাকলেও, এই উৎসবকে জাঁকজমকপূর্ণ করে তোলার জন্য চেষ্টার খামতি থাকছে না। উত্তরপ্রদেশ সরকার দীপোৎসবকে অসাধারণ এক অনুষ্ঠান করে তোলার জন্য সবরকমভাবে সহযোগিতা করছে। আগামী বছর যোগী আদিত্যনাথ সরকারের পাঁচ বছর পূর্ণ হচ্ছে। তারপর উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এবারই শেষ দীপাবলি। তাই এবারের দীপাবলিকে আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে যোগী প্রশাসন। অযোধ্যার সব প্রাচীন মন্দির, ঐতিহাসিক এবং পৌরাণিক জায়গাগুলিকে আলোকিত করে তোলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।


যোগী প্রশাসনের দাবি, উত্তরপ্রদেশে আগের সরকারগুলির আমলে অযোধ্যা অবহেলিত থেকেছে। ২০১৭ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিশ্ব মানচিত্রে অযোধ্যার গৌরব প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা শুরু করেন। অযোধ্যায় দীপোৎসবে ৫,৫১,০০০ প্রদীপ জ্বালানো হয়েছে, যা রেকর্ড। এবার তার চেয়েও বেশি প্রদীপ জ্বালানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। অবধ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবকরাই এর আগে প্রদীপ জ্বালিয়ে রেকর্ড গড়েন। তাঁরা এবার সেই রেকর্ড ভেঙে দিতে চান।


অযোধ্যায় মেয়র জানিয়েছেন, ‘যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করার পর থেকেই অযোধ্যায় দীপোৎসব শুরু হয়েছে। অযোধ্যার নামে নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। গত বছর থেকে রাম মন্দির তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। গতবার করোনা আবহেই ৫,৫১,০০০ প্রদীপ জ্বালিয়ে রেকর্ড গড়া হয়। এবার আরও ভালভাবে দীপোৎসব পালন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’