২০১০-তে যে সার্কেলগুলিতে পরিষেবা রয়েছে, সেগুলির জন্য নিলামে নির্ধারিত স্পেকট্রামের দাম মেটাতে বলার পর থেকেই দুই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএল লোকসানে চলছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা অভিযোগ করেছেন, বিজেপি সরকার বিএসএনএল এবং এমটিএনএল-কে ৪জি বরাদ্দ করেনি এবং সমস্ত বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি অর্থ ঢালছে কিন্তু বিএসএনএল-কে ঋণ নিতে দেওয়া হচ্ছে না।
সুরজেওয়ালা লিখেছেন, ‘সমস্যা বিএসএনএল এবং এমটিএনএলের নয়। সমস্যাটা হল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির ক্ষতি করে বিজেপি সরকারের বেসরকারি সংস্থাগুলিকে সাহায্য করার দূরভিসন্ধি’।
সুরজেওয়ালা দাবি করেছেন, ‘এক্ষেত্রে সরকারের মূলধনী লগ্নি শূন্য এবং টাওয়ারের ক্ষেত্রেও কোনও লগ্নি করা হয়নি। দেশের প্রত্যেকের অবশ্যই ভেবে দেখা উচিত- : ১) কংগ্রেস সরকারের আমলে ২০১৩-১৪ তে এমটিএনএল-এর মুনাফার পরিমাণ ছিল ৭,৮৩৮ কোটি টাকা। ২০১৯ এ বিজেপি সরকারের আমলে এমটিএনএলের লোকসানের পরিমাণ ৩,৩৯০ কোটি টাকা। ২) বিজেপি সরকার যদি আইএলএফএস, আইডিবিআই, ও জিএসপিসি-র মতো বেসরকারি সংস্থাগুলি সরকারি তহবিল লগ্নি করে সাহায্য করতে পারে, তাহলে বিএসএনএল/এমটিএনএল-কে নয় কেন?’
দিল্লি ও মুম্বইয়ে পরিষেবা প্রদান করে এমটিএনএল এবং বিএসএনএল বাকি ২০ টি টেলিকম সার্কেলে কাজ করে। এমটিএনএল যেখানে ধারাবাহিকভাবে লোকসানে চলছে এবং পুনরুজ্জীবনের কোনও লক্ষ্মণই নেই, সেখানে বিএসএনএলের ২০১৪-১৫ তে অপারেটিং প্রফিট ৬৭২ কোটি টাকা, ২০১৫-১৬ তে ৩,৮৮৫ কোটি টাকা এবং ২০১৯-১৭ তে ১,৬৮৪ কোটি টাকা।
এর আগে এদিন রাজ্যসভায় এক কংগ্রেস সাংসদ এমটিএনএল ও বিএসএনএলের পুনরুজ্জীবনের জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই দুই সংস্থার কর্মীরা নির্দিষ্ট সময়ে বেতন পাচ্ছেন না।
শূন্য পর্বে বিষয়টি উত্থাপন করে রিপুন বোরা বলেন, বেসরকারি কোম্পানিগুলিকে ৪জি ও ৫জি স্পেকট্রাম বরাদ্দ করা হলেও দুই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে ৩জি স্পেকট্রামের মাধ্যমে পরিষেবা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, এমটিএনএলের ৪৫ হাজার ও বিএসএনএলের ১.৭৪ লক্ষ কর্মী গত কয়েকমাস ধরে সময়ে বেতন পাচ্ছেন না।