বারাণসী: প্রিয়ঙ্কা গাঁধী কংগ্রেসের পূর্ব উত্তরপ্রদেশের সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হওয়ার পরদিনই তাঁকে বারাণসীতে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আবেদন জানিয়ে পোস্টার পড়ল। বারাণসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী কেন্দ্র। কংগ্রেসের স্থানীয় শাখাও দাবি করেছে, উত্তরপ্রদেশ ও তার আশপাশের রাজ্যগুলিতে দলীয় কর্মীদের মধ্যে সাড়া পড়ে যাবে যদি প্রিয়ঙ্কা সরাসরি মোদির বিরুদ্ধে প্রার্থী হন। মন্দির শহর ছেয়ে ফেলা পোস্টারের একেবারে মাথায় আছে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর ছবি, মাঝে প্রিয়ঙ্কার ছবি। রয়েছেন ২০১৪-য় মোদির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে হেরে যাওয়া কংগ্রেস প্রার্থী অজয় রাইও। পোস্টারে স্লোগান রয়েছে, কাঁসি কি জনতা করে পুকার, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী হো সংসদ হামার। আমরা চাই প্রিয়ঙ্কাকে। বারাণসীতে প্রিয়ঙ্কাকে প্রার্থী করার দাবি তুলে আজ সেখানকার লাহুবির এলাকায় ওই পোস্টার নিয়ে স্লোগান দিয়ে মিছিল করেন যুব কংগ্রেস কর্মীরা। রাই বলেন, কংগ্রেস সেনানীরা তৈরি মন্দির শহর থেকে প্রিয়ঙ্কাকে জেতানোর জন্য। উনি এখানে প্রার্থী হলে তার রেশ আশপাশের রাজ্যগুলিতে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী মোদি হাওয়ার দাপট হ্রাস পেয়েছে। লোকে মোদি-শাহ অপশাসন থেকে মুক্তি চাইছেন। ওঁরা অসংখ্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর জীবন ধ্বংস করে দিয়েছেন, ওঁদের ভ্রান্ত নীতি, বুক বাজানোর ফলে হাজার হাজার মানুষ কর্মহীন হয়েছেন।
বিজেপি অবশ্য দাবি করছে, কংগ্রেসের হয়ে প্রিয়ঙ্কা সক্রিয় রাজনীতিতে নামায় দিল্লিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বটে, কিন্তু যে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের ভার তাঁকে দেওয়া হয়েছে, সেখানকার মানুষের মধ্যে কোনও হেলদোল নেই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোজ সিনহা যিনি পূর্ব উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের এমপি, দাবি করেছেন, কংগ্রেস কিছুটা গুরুত্ব পাওয়ার চেষ্টা করছে, কেননা সপা-বসপা ওদের জোটে না নেওয়ায় ওরা খারাপ অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে রাহুল গাঁধী আজ অমেঠিতে বলেছেন, তিনি বোন প্রিয়ঙ্কাকে উত্তরপ্রদেশে পরেরবার কংগ্রেসের সরকার গঠন নিশ্চিত করার টার্গেট দিয়েছেন। কংগ্রেস পূর্ণ শক্তি নিয়ে লোকসভা ভোটে লড়বে বলেও জানান রাহুল। কংগ্রেস সভাপতি বলেন, প্রিয়ঙ্কা, সিন্ধিয়াকে একটা টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে। পরের বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে হারিয়ে মুছে দিয়ে কংগ্রেস সরকার চাই রাজ্যে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেসমুক্ত ভারত গড়ার যে লক্ষ্যের কথা বলেন, তার উল্লেখ করে রাহুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির মতো আমি বিজেপি-মুক্ত ভারতের কথা বলি না, সম্মান দিয়ে কথা বলি। গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ বা তামিলনাড়ু, যেখানেই হোক, কংগ্রেস ফ্রন্ট ফুটে সর্বশক্তি নিয়ে লড়বে। দেখবেন, বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যে কংগ্রেসের সরকার হবে।
রাহুল আরও বলেন, নরেন্দ্র মোদি মানেই ঘৃণা, উনি ঘৃণার প্রতীক। ২০১৯ এ আমরা মোদিকে হটাবই, কেউ রুখতে পারবে না।