নয়াদিল্লি: জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, মিলিন্দ দেওরাদের পর এবার কর্ণ সিংহ। দলের অবস্থানের বিপক্ষে গিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের প্রশংসা করলেন এই কংগ্রেস নেতা। তাঁর দাবি, লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৫ এ ধারা প্রত্যাহার এবং রাজ্যভাগের সিদ্ধান্তের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। যদিও ৩৭০ ধারা রদ করা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি কর্ণ। তিনি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলির নেতাদের মুক্তি দেওয়া এবং তাঁদের সঙ্গে আলোচনার দাবি জানিয়েছেন।


কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিরোধিতা করা হয়েছে। তবে কর্ণ বলেছেন, ‘আমি একতরফাভাবে সরকারের এই পদক্ষেপের নিন্দা করতে চাই না। এই সিদ্ধান্তের কিছু ইতিবাচক দিক আছে। লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। ৩৫ এ ধারায় লিঙ্গবৈষম্যের সমস্যার সমাধান করা জরুরি ছিল। পশ্চিম পাকিস্তানের উদ্বাস্তুদের মুক্তি দেওয়া এবং তফশিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণ স্বাগত। প্রথমবার জম্মু ও কাশ্মীরে ন্যায়সঙ্গতভাবে রাজনৈতিক ক্ষমতা ভাগ করে দেওয়া হবে।’

জম্মু ও কাশ্মীরের প্রথম ও শেষ সদর-ই-রিয়াসত কর্ণ আরও বলেছেন, ‘জম্মু ও লাদাখ সহ সারা দেশ এবং সংসদের সমর্থন পাচ্ছে এই কঠোর পদক্ষেপ। আমি একতরফাভাবে এর নিন্দা করতে চাই না। ১৯৬৫ সালে সদর-ই-রিয়াসত থাকার সময় আমি লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কাশ্মীরে রাজনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যাওয়া জরুরি। রাজ্যের সব অংশের মানুষের উন্নতিই আমার একমাত্র লক্ষ্য।’