নয়াদিল্লি: ২০১৮-১৯ সালে দেশে বাঘের সংখ্যা বিচার করে দেখা যাচ্ছে উত্তরাখন্ডের করবেট টাইগার রিজার্ভে বাঘের সংখ্যা সর্বাধিক। এখানে রয়েছে ২৩১টি বাঘ। মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খন্ডের অভয়ারণ্যে একটিও বাঘ নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর সম্প্রতি প্রকাশিত রিপোর্টে এই কথাই জানা যাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় পরিবেশকল্যাণমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর অল ইন্ডিয়া টাইগার এস্টিমেশন শীর্ষক ৬০০ পাতার রিপোর্টটি প্রকাশ করেছেন ২৯ জুলাই গ্লোবাল টাইগার ডে-কে মাথায় রেখে। এতে বাঘের সংখ্যার রাজ্যওয়াড়ি এবং রিজার্ভ ওয়াড়ি হিসাব দেওয়া হয়েছে। ভারতে মোট বাঘের অভয়ারণ্যের সংখ্যা ৫০টি। এর মধ্যে ঝাড়খন্ডের পলামৌ, মিজোরামের ডাম্পা এবং পশ্চিমবঙ্গের বক্সা অভয়ারণ্যে একটিও বাঘ আর নেই।

এই মুহূর্তে সারা দেশে নানা অভয়ারণ্যে মোট বাঘের সংখ্যা ১ হাজার ৯২৩, যা দেশে বাঘের মোট সংখ্যার ৬৫ শতাংশ। উত্তরাখন্ডের করবেট টাইগার রিজার্ভে বাঘের সংখ্যা সর্বাধিক। রয়েছে ২৩১টি বাঘ। এরপরই রয়েছে কর্ণাটকের নাগারহোল এবং বন্দিপুর।এই দুটি জায়গায় বাঘ রয়েছে যথাক্রমে ১২৭ এবং ১২৬টি করে।অসমের কাজিরাঙা এবং মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড়ে রয়েছে ১০৪টি করে বাঘ। ওড়িশার সিমলিপাল, অন্ধ্রের নাগার্জুন সাগর, তেলেঙ্গানার আরমাবাদ ও কাওয়াল, অসমের নামেরি ও মানস,কর্ণাটকের অনসিদান্দেলি, অরুণাচলের পাক্কে-র অভয়ারণ্যে বাঘের সংখ্যা তলানিতে ঠেকেছে। এর মধ্যে ঝাড়খন্ডের পলামৌ, মিজোরামের ডাম্পা এবং পশ্চিমবঙ্গের বক্সা অভয়ারণ্যে একটিও বাঘ আর নেই।

এই প্রতিটি জায়গাতেই বাঘ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বিবেচনার পরিকল্পনা নিতে হবে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে।সে জন্য বাঘের নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়গুলিও বিবেচনার মধ্যে আনার প্রস্তাব রয়েছে।

রাজ্যওয়াড়ি বাঘ-সংখ্যার বিচারে মধ্যপ্রদেশে সর্বাধিক ৫২৬টি বাঘ রয়েছে। এরপরেই কর্ণাটক ও উত্তরাখন্ডে বাঘ রয়েছে যথাক্রমে ৫২৪ ও ৪৪২টি করে। গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি চার বছরের টাইগার সেনসাস রিপোর্ট প্রকাশ করেন, যাতে দেখা যাচ্ছে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৪ সালে ছিল ১৪০০টি বাঘ যা ২০১৯ সালে বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৯৬৭টি। পরিবেশমন্ত্রী জাভরেকর জানান বিশ্বে বাঘ সংরক্ষণ বিষয়টিতে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো জায়গায় আছে ভারত। প্রসঙ্গত, বিশ্বে যে ১৩টি দেশে বাঘ রয়েছে তারা হল, ভারত, বাংলাদেশ, ভূটান, কলম্বিয়া, চিন, ইন্দোনেশিয়া, লাও পিডিআর, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, নেপাল, রাশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম।