নয়াদিল্লি: সারা দেশে করোনাভাইরাসের দাপট চলছে। মানুষের মনে উদ্বেগ-আতঙ্ক তৈরি করেছে মানুষের মনে। দেশে টিকাকরণ অভিযান শুরু হলেও ভ্যাকসিনের জোগানে টান রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ২৩ শতাংশ নাগরিক করোনার একটি মাত্র ডোজের জন্য এক হাজার টাকা বা তার বেশি খরচ করেছেন। তাঁদের কাছ থেকে কোভিশিল্ডের ডোজের জন্য ১০০০-১২০০ টাকা ও কোভ্যাক্সিনের ডোজের জন্য ১৫০০-২০০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। এই তথ্য লোকাল সার্কেলসের সমীক্ষায় সামনে এসেছে। সমীক্ষার ফল অনুসারে, ৭৩ শতাংশ মানুষ চাইছেন, রাজ্য সরকারগুলি ভ্যাকসিন পরিষেবার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দিক ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশনের খরচে লাগাম টানুক। 
লোকাল সার্কেলস তাদের সমীক্ষায় প্রশ্ন করেছিল যে, বেসরকারি কেন্দ্রগুলিতে আপনার পরিবারের সদস্যদের  ভ্যাকসিনের জন্য কত খরচ করেছেন। এর জবাবে ৬০ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, ২৫০-৫০০ টাকা দিয়েছেন। ১১ শতাংশ বলেছেন ৫০০-১০০০ টাকা, ২০ শতাংশ বলেছেন, ১০০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা। তিন শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁদের ২০০০ টাকার বেশি দিতে হয়েছে। ৬ শতাংশ কোনও কিছু বলেননি। সবমিলিয়ে উত্তরদাতাদের ২৩ শতাংশকে প্রতি ডোজের জন্য এক হাজার বা তার বেশি টাকা খরচ করতে হয়েছে।  সমীক্ষায় ৮,৩৮৫ জনের কাছে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল।


ভ্যাকসিনের জন্য বেসরকারি হাসপাতালে পরিষেবা খরচ হোক ১০০-২০০ টাকা 



চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বেসরকারি কেন্দ্রগুলিকে টিকাকরণ অভিযানে ভ্যাকসিন প্রাপকদের কাছ থেকে তাদের পরিষেবা চার্জ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালগুলি এক্ষেত্রে ২০০-২৫০ টাকা চার্জ নিতে শুরু করেছিল। সমীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়েছিল, রাজ্য সরকারগুলির কি বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনের পরিষেবা চার্জ নির্ধারিত করা উচিত? এই প্রশ্নের জবাবে ৪১ শতাংশ অংশগ্রহণকারী এক্ষেত্রে ২০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে এই চার্জ বেঁধে দেওয়ার কথা বলেছেন। ৩২ শতাংশ বলছেন, এই চার্জ হওয়া উচিত ১০০ থেকে ২০০ টাকা। ৯ শতাংশ প্রতি ডোজে ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত সার্ভিস চার্জ নেওয়াকে সমর্থন করেছেন। ৯ শতাংশ এ ব্যাপারে কোনও মতামত জানাননি। 


সমীক্ষা থেকে স্পষ্ট যে, বেশিরভাগ মানুষই চান যে, বেসরকারি হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিনের সার্ভিস চার্জ হোক ১০০-২০০ টাকা । সমীক্ষায় এই প্রশ্নে ৯,০২১ জনের মতামত নেওয়া হয়েছে।