নয়াদিল্লি: ইরান থেকে দেশে ফিরল ইরানে আটকে পড়া ভারতীয়দের প্রথম ব্যাচ। প্রথম ব্যাচে ৫৮ জন ছিলেন। এঁদের সকলকে আগামী ১৪ দিন গাজিয়াবাদের হিন্ডন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে আইসোলেশনে রাখা হবে। সেখানে তাঁদের ওপর পর্যবেক্ষণ করা হবে।


সোমবার রাতে হিন্ডন সামরিক ঘাঁটি থেকে তেহরানের উদ্দেশে রওনা দেয় বায়ুসেনার দৈত্যকায় বিমান সি-১৭ গ্লোবমাস্টার। সঙ্গে পাঠানো হয় বায়ুসেনার মেডিক্যাল টিম ও সাপোর্ট স্টাফদের।





মঙ্গলবার সকালে, তেহরান থেকে ৫৮ জন ভারতীয়কে নিয়ে ফিরল বিমানটি। ওই দলে রয়েছেন ২৫ জন পুরুষ, ৩১ জন মহিলা ও ২ জন শিশু। বিমানে মোট ৫২৯টি রক্ত-নমুনা আনা হয়েছে পরীক্ষার জন্য।


এই নাগরিকদের সঙ্গেই আইসোলেশনে রাখা হবে ১৭ জন বায়ুসেনা কর্মীকে, যাঁরা ইরানে গিয়েছিলেন এঁদের ফিরিয়ে আনতে। বায়ুসেনা কর্মীদের আগামী ১ মাস আইসোলেশনে রাখা হবে।


বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এদিন ট্যুইটে ভারতে ইরানের দূতাবাসের সহযোগিতার প্রশংসা করেন। ভারতীয় বায়ুসেনাকেও ধন্যবাদ জানান তিনি। পাশাপাশি, আশ্বস্ত করেন, বাকি ভারতীয়দেরও সেখান থেকে শীঘ্রই ফিরিয়ে আনা হবে।





সোমবারই, ইরানে আটকে পড়া ভারতীয়দের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিদেশমন্ত্রী। আশ্বাস দেন, আটকে পড়াদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সবরকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে।


ইরানের কুয়োম শহরেই আটকে পড়েছিলেন ৪০ জন ভারতীয়।  এর জন্য, সেখানে ভারতীয়দের স্ক্রিনিং প্রক্রিয়া চালু করতে চিকিৎসকদের টিম পাঠিয়ে বিশেষ ক্লিনিক শুরু করে ভারত।


এর আগে, চিনের উহান -- যা করোনাভাইরাসের উৎসস্থল বলে প্রমাণিত-- থেকে ৭৬ ভারতীয় ও ৩৬ বিদেশিকে বের করে নিয়ে আসে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান।



করোনাভাইরাসের প্রকোপ তীব্র আকার ধারণ করেছে ইরানে। এখনও পর্যন্ত ৭,১৬১ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ২৩৭ জন। যা চিনের বাইরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (ইতালির পর)।