নয়াদিল্লি: দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিখরের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। আগামী ৩-৫ মে-র মধ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধির গ্রাফ সর্বোচ্চ শিখরে (পিক) পৌঁছে যেতে পারে। বিজ্ঞানীদের একটি দল গাণিতিক মডেলের বিশ্লেষণের ভিত্তিতে সরকারকে এই তথ্য জানিয়েছে। এর আগে  যে সময়সীমা জানানো হয়েছিল, তার কিছুটা আগেই সংক্রমণ চূড়োয় পৌঁছে যেতে পারে ভারত। কারণ, সংক্রমণ অনুমানের থেকে অনেক বেশি হারে ছড়াচ্ছে। 
দেশে গত কয়েকদিন ধরেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তিন লক্ষের বেশি রয়েছে। আজ সরকার যে পরিসংখ্যাণ জারি করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা চার লক্ষে পৌঁছেছে। শুক্রবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩.৮৬ লক্ষ। করোনার এই দ্রুত সংক্রমণ দেশের জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সংকট তৈরি করেছে। অক্সিজেন, ওষুধ ও অন্যান্য সামগ্রীর জন্য বিশ্বের বিভিন্ন  দেশের দ্বারস্থ হতে হয়েছে সরকারকে। 
সরকারের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ সংক্রান্ত যে বিজ্ঞানীদের দল গঠন করা হয়েছে, তার প্রধান এম বিদ্যাসাগর সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে যে, আমাদের অনুমান, আগামী সপ্তাহের মধ্য়েই দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা শিখরে পৌঁছে যাবে। 
এম বিদ্যাসাগর বলেছেন, এপ্রিলে গোষ্ঠী এক প্রেজেন্টেশনে সরকারের পদস্থ আধিকারিকদের জানিয়েছিল যে, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫ থেকে ১০ মে-র মধ্যে শিখরে পৌঁছে যাবে। 


 


বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তুতির প্রয়োজন



বিদ্যাসাগর বলেছেন, আমাদের প্রেজেন্টেশনে বলেছি যে, জুলাই বা অগাস্টে কাজে আসবে, এমন কোনও কাঠামো তৈরির প্রয়োজনীয়তা নেই। কারণ, ততদিনে এই ঢেউ শেষ হয়ে যাবে। এখন চেষ্টা করে দেখতে হবে যে, কীভাবে আগামনী চার থেকে ছয় সপ্তাহ করোনার মোকাবিলায় লড়াই করতে পারি। দীর্ঘকালীন সমাধানের জন্য বেশি সময় নষ্টের প্রয়োজনীয়তা নেই। কারণ, সমস্যা এখন ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। 


আক্রান্তর সংখ্যা পরিসংখ্যানের চেয়ে বেশি হতে পারে



বিদ্যাসাগর বলেছেন, ভারতে করোনা মহামারীর প্রথম ঢেউ গত বছরের সেপ্টেম্বরে দৈনিক ৯৭,৮৯৪ আক্রান্ত সহ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল। দেশে এখন দৈনিক এর তিন গুণের বেশি সংক্রমণের ঘটনা সামনে আসছে।  


সবমিলিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১,৯১,৬৪,৯৬৯। সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ১,৫৬,৮৪,৪০৬ জন। মোট মৃতের সংখ্যা ২,১১,৮৫৩।