চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন সূত্রে পাওয়া শেষ খবর অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এই মারণ ভাইরাসে। নতুন করে ৩০৬২ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। কমিশন সূত্রে আরও খবর, কেবল হুবেই প্রদেশেই এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৭১ জন। ইতিমধ্যেই চিনের ৩১টি প্রাদেশিক অঞ্চলে থাবা বসিয়েছে নোভেল করোনাভাইরাস।
রবিবার ৩২৮১ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে দাবি করা হয়েছে ভাইরাসের কবল থেকে আপাতত মুক্ত তাঁরা। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের প্রথম রিপোর্ট মিলেছিল গত ডিসেম্বরে চিনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে। এই শহরই ভাইরাসের উৎসস্থল বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। অনুমান করা হচ্ছে, উহানের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকেই এই ভাইরাসের উৎপত্তি। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মৃত্যু হয়েছে এখানেই।
বিভিন্ন অভিনব পন্থা নিয়ে এই মহামারীর সঙ্গে লড়াই করার চেষ্টা করছে চিন প্রশাসন। এবার জন সচেতনতা বাড়াতে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করানোর জন্য পুরষ্কার ঘোষণা করলো চিন সরকার। হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করালেই মিলবে ১০০০ ইউয়ান। ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক ১০,০০০ টাকার কিছু বেশি।
১ কোটি জনসংখ্যার উহান শহরের পথঘাট এখন ফাঁকা। ভয়ে রাস্তায় বার হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। চিনের বাইরে আরও ২৫টি দেশে ছড়িয়েছে এই মারণ ভাইরাস।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের ২৫টি দেশ থেকে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। এর মধ্যে অধিকাংশই এশিয়ায়। হু-এর পেশ করা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০২-০৩ সালে বিশ্বে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল সার্স ভাইরাস। সার্সের শিকার হন ৭৭৪ জন। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮,১০০ জন। কিন্তু, সার্সের ভয়াবহতাকেও ছাপিয়ে গেল নোভেল করোনাভাইরাসে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা।
চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সাহায্যের প্রস্তাব দিয়ে চিঠি পাঠালেন নরেন্দ্র মোদি।