নয়াদিল্লি: বর্তমানে দেশজুড়ে চলছে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপট। এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, দেশের মোট করোনা আক্রান্তর ৮৫ শতাংশ ১০ টি রাজ্যে। মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, দেশের ১১ টি রাজ্যে এক লক্ষের বেশি আক্রান্ত চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে, আট রাজ্যে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৫০ হাজার থেকে এক লক্ষের মধ্যে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ২৪ রাজ্যে সংক্রমণের হার ১৫ শতাংশের বেশি। 


স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লভ অগ্রবাল বলেছেন, দেশে সক্রিয় আক্রান্তর সংখ্যা কমতে দেখা যাচ্ছে। ৩ মে রিকভারি রেট ৮১.৩ শতাংশ ছিল। এর পর থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। এখন রিকভারি রেট ৮৩.৮৩ শতাংশ। মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশষ ছত্তিসগঢ়, গুজরাতের মতো রাজ্যগুলিতে করোনার প্রকোপ বেশি। কিন্তু এই রাজ্যগুলিতে গত এক সপ্তাহে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। তবে তামিলনাড়ুতে গত এক সপ্তাহে সক্রিয় আক্রান্তর সংখ্যা বেড়েছে। 


দেশের ২৪ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পজিটিভিটির হার ১৫ শতাংশের বেশি। ৫-১৫ শতাংশ পজিটিভিটি হার ১০ টি রাজ্যে। পাঁচ শতাংশের কম পজিটিভিটি হার, এমন রাজ্যের সংখ্যা ৩। বিগত এক সপ্তাহে ১৮ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পজিটিভিটি হার কমেছে। দেশে পজিটিভিটির হার ২১.৯ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১৯.৮ শতাংশ। 


ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হলেও সামান্য কমল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ-মৃত্যু।  গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৩ লক্ষের বেশি। সাতদিন পর দেশে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৪ হাজারের নীচে নামল।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ২৬ হাজার ৯৮ জন। দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ২ কোটি ৪৩ লক্ষ ৭২ হাজার ৯০৭ জন।  এর আগে, শুক্রবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লক্ষ ৪৩ হাজার ১৪৪ জন। বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী,  ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লক্ষ ৬২ হাজার ৭২৭ জন। বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪২১ জন।