Live Updates: করোনাভাইরাস: ৩১ মার্চ পর্যন্ত গোটা রাজ্যেই লকডাউন, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
৩১ মার্চ পর্যন্ত গোটা রাজ্যেই লকডাউনের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি জানিয়েছেন, ‘অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য নতুন প্রকল্প। যাঁদের আর্থিক সঙ্কট, তাঁদের জন্য মাসে ১০০০ টাকা অনুদান। প্রচেষ্টা নামে নতুন প্রকল্প রাজ্য সরকারের। আজও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি। সর্বদল বৈঠক সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের কোনও সাহায্য আমরা পাইনি। লকডাউন চলাকালীন রাস্তায় ক্রিকেট খেলবেন না। একজনের হলে চারজনের দেহে সংক্রমিত হচ্ছে। ১৪ দিন ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন। বিদেশ থেকে যাঁরা এসেছেন, কোয়ারেন্টিনে থাকুন।’
প্রেক্ষাপট
কলকাতা: লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মঙ্গলবার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, পরিস্থিতি বিচার করে কলডাউনের মেয়াদ ৩১ তারিখ পর্যন্ত করা হল। কার্যকর হচ্ছে আজ বিকেল থেকেই। এদিন মমতা বলেন, পরিস্থিতির অস্বাভাবিকতাকে লক্ষ্য করে আজ বিকেল ৫ টা থেকে সর্বত্র রাজ্যের সর্বত্র লকডাউন। ৩১ মার্চ পর্যন্ত। কেস স্টাডি করে দেখলাম, এক লক্ষ মানুষকে আক্রান্ত করতে ৬৭ দিন টাইম নেয়। পরের একলক্ষ মানুষকে আক্রান্ত করতে ৪ দিন সময় নেয়।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, সবার ভালর কথা মাথায় রেখেই এই লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যাতে সকলে ভাল থাকে, একটু কষ্ট করতে হবে। দুর্ভোগে সামিল হয়েই কাজ করতে হবে। ফ্রি রেশন বলে দিয়েছি আগামী ছ মাস। যারা অসংগঠিত ক্ষেত্রে আছে দিন আনি দিন খায়, তাদের জন্য নতুন স্কিম- প্রচেষ্টা। ১৫-৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেওয়া হবে। ১ হাজার টাকা করে সরকার দেবে।
জনগণের উদ্দেশ্যে মুখ্য়মন্ত্রীর বার্তা, এমন কোনও কিছু করবেন না, যাতে করোনা ছড়ায়। বলেন, বাজারে অনেকে যাচ্ছেন একসঙ্গে। বাজার, ওষুধের দোকান খুলে রাখা হয়েছে। গাদাগাদি করে জিনিস কিনছেন অনেকেই। এতে করোনা ছড়াবে। যারা বাজারে যাচ্ছেন তাদের কাছে অনুরোধ, একটু দুরে দুরে দাঁড়ান। যাতে আপনার স্পর্শ, নিশ্বাস-- আরেকজনকে স্পর্শ না করে। ব্যাঙ্কের লাইনে যারা দাঁড়াবেন তাদের জন্যও এক কথা বলছি।
সংবাদমাধ্যমের জন্য বলব রাস্তায় কাগজ ফেলে বিক্রি করবেন না। গাড়িতে করে কাগজ নিয়ে দাঁড়াবেন। হকারদের ৫ জন করে লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে দেবে। রাস্তার ঢেলে বিক্রি করা যাবে না। নিউজ পেপারও পড়তে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি। সর্বদলীয় বৈঠকের চিঠি পাঠিয়েছি। বলেছি FRBM ৩-এর বদলে ৫ শতাংশ করতে। আমাদের কাছে টাকা কম। পরিকাঠামো বাড়াতে হচ্ছে। একটা ফান্ড তৈরি করেছি। সাধারণ মানুষ সেখানে টাকা দিতে পারেন। জিনিসপত্রও দিতে পারেন। অনেকেই বলেছেন সাহায্য করতে চাই।
ভিড় করে রাস্তায় ক্রিকেট খেলবেন না। কী ভয়ঙ্কর রোগ আপনারা এখনও বুঝতে পারছেন না। স্বামীর প্রথমে হল, তারপর স্ত্রীর হল, পরিচারিকার হল। গ্রামেও যারা ভিনরাজ্য থেকে ফিরেছেন তাদের বলব ঘরে থাকুন। খাওয়া দাওয়া করুন। শান্তিতে থাকুন। পরিবারের সঙ্গেও চেষ্টা করবেন নিশ্বাসে নিশ্বাস না মেলাবার। বন্যা হলে ফ্লাড সেন্টারে পাঠাই। সেখানে একসঙ্গে থাকতে পারে। একটা চিকিত্সক আক্রান্ত হলে সিস্টেম ভেঙে পড়বে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -