নয়াদিল্লি: চিন থেকে ইউরোপেও ছড়িয়েছে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক। ভারতেও কড়া সতর্কতা নিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। চিন থেকে আসা ৩ ভারতীয়কে মুম্বইয়ের হাসপাতালে চিকিৎসকদের নজরে রাখা হয়েছে। যদিওবা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে, তাহলেও আতঙ্ক না ছড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, মুম্বই বিমানবন্দরে চিন থেকে আসা যাত্রীদের পরীক্ষা করে এখনও অবধি কারও শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েনি।
চিন পেরিয়ে এখন ইউরোপেও ছড়িয়েছে নোভেল করোনাভাইরাসের আতঙ্ক। ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন ২ জন। অন্যদিকে, চিনে নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হু-হু করে বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। আক্রান্ত অন্তত ১৩০০। সংক্রমণ রুখতে দেশের মোট ১৩টি শহরকে কার্যত তালাবন্ধ করেছে বেজিং সরকার।
চিনা ভাইরাসে চিন্তায় দিল্লিও। নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটে থাকতে পারে আশঙ্কায় চিন ফেরত ৯ জনকে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কেরলে ৭৩ জনকে বাড়িতে রেখে নজরদারির ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। এর মধ্যে কয়েকজনের জ্বর, সর্দিকাশি, গলা ব্যথার মতো উপসর্গ রয়েছে। এ পর্যন্ত দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতা সহ ভারতের বিভিন্ন বিমানবন্দরে সব মিলিয়ে ২০ হাজারেরও বেশি চিন ফেরত যাত্রীকে স্ক্রিনিংয়ে পাঠানো হয়েছে। ভাইরাসের উৎস বলে চিহ্নিত ইউহান শহরে বহু ভারতীয় পড়ুয়া থাকেন। তবে চিনা নববর্ষের ছুটিতে তাঁদের অধিকাংশই আগেই দেশে ফিরেছেন।
তবে যাঁরা এখনও চিনে রয়েছেন, তাঁদের সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।
গত কাল খবর পাওয়া যায়, সৌদি আরবের হাসপাতালে কর্মরত এক ভারতীয় নার্স করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। যদিও আজ সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রক সে খবর অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, সে দেশে কেউ ওই ভাইরাসে আক্রান্ত নন।