কলকাতা: নির্ভয়া গণধর্ষণ মামলায় দোষীদের আইনজীবী তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নথি না দেওয়ার যে অভিযোগ করেছিলেন, সেটি খারিজ করে দিল দিল্লির আদালত। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অজয় কুমার জৈন জানিয়েছেন, দোষীদের আইনজীবী সব নথি, ডায়েরি ও চিত্রকর্মের ছবি তুলে নিতে পারেন।


এরই মধ্যে দোষী সাব্যস্ত হওয়া মুকেশ কুমার সিংহের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি রামনাথ সিংহের কাছে ক্ষমা করে দেওয়ার যে আর্জি জানানো হয়েছিল, সেটি খারিজ হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। কয়েকদিন আগেই মুকেশের আর্জি খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি। মুকেশের আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁরা এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন না।

আজ আদালতে দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘আইনকে পরাজিত করার চেষ্টা চলছে। দোষীরা মৃত্যুদণ্ড পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা ইতিমধ্যেই সব নথি জমা দিয়েছি। এই মামলায় দোষীদের যে সব জেলে রাখা হয়েছিল, সেখান থেকে সব নথি দেওয়া হয়েছে। আদালত বললে এখনই সেইসব নথি অপরাধীদের হাতে তুলে দিতে পারি।’ এরপর দোষী বিনয় কুমার শর্মার একটি ডায়েরি, কয়েকটি চিত্রকর্ম ও অন্যান্য নথি পেশ করেন সরকারি আইনজীবী।

দোষীদের আইনজীবী এ পি সিংহ দাবি করেন, ‘বিনয় শর্মাকে বিষ দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। কিন্তু তাঁকে চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনও নথিপত্র দেওয়া হয়নি। গতকাল রাতে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ কিছু নথি দিয়েছে। কিন্তু বিনয়ের ব্যক্তিগত ডায়েরি ও চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি দেওয়া হয়নি। বিনয় কয়েকটি ছবি এঁকেছিলেন। আমরা রাষ্ট্রপতিকে সে কথা জানাতে চাই। সেই ছবি এঁকে কত টাকা পেয়েছেন বিনয়, সেটাও জানা দরকার। মান্ডোলি জেলে আঘাতের জেরে পবন সিংহের মাথা ফাঁক হয়ে গিয়েছিল। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। কিন্তু সেই সংক্রান্ত কোনও নথি দেওয়া হয়নি। অপর এক দোষী অক্ষয় কুমার সিংহের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নথিও দেওয়া হয়নি। ক্ষমার আর্জি ও কিউরেটিভ পিটিশন দায়ের করার জন্য সেই নথি দরকার।’

কিছুদিন আগে সুপ্রিম কোর্টে বিনয় ও মুকেশ সিংহের কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ হয়ে গিয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টায় ফাঁসি হওয়ার কথা।