নয়াদিল্লি: দেশে খাবারের আকাল হবে না। ফলে, কারও প্রয়োজন নেই অত্যাবশ্যক খাদ্যদ্রব্য আগাম কিনে মজুত করে রাখার। দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বার্তা নরেন্দ্র মোদির। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জনগনকে আবেদন করছি, অযথা আতঙ্কিত হয়ে অত্যাবশ্যক পণ্য কেনার কোনও প্রয়োজন নেই। তিনি আশ্বাস দেন, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের কোনও আকাল নেই। অত্যাবশ্যক সামগ্রী যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে, তা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, ইতিমধ্যেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের অধীনে কোভিড-১৯ ইকনমিক টাস্ক ফোর্স গঠিত হয়েছে। এই কমিটি দেশের সবকটি সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রেখেছে। যে কোনও পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে এই উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, এদিনই দিল্লির নর্থ ব্লকে পশুপালন মন্ত্রক, মৎস্য ও দুগ্ধ, অসামরিক বিমান চলাচল, ছোট ও ক্ষুদ্র শিল্প এবং পর্যটন মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন সীতারমণ।
ভারতে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এই মুহূর্তে মারণ ভাইরাসে দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৫জন। মৃত্যু হয়েছে চার জনের।  করোনা-আতঙ্কের গ্রাসে প্রায় গোটা দেশ। বিভিন্ন রাজ্যে জারি হচ্ছে একাধিক নিষেধাজ্ঞা। আতঙ্কে মানুষ আগাম নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য কিনে মজুত করে রাখছে। এক কথায় 'প্যানিক-বায়িং'-এর হিড়িক পড়েছে শহরে-শহরে।
ভারতে নোভেল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আক্রান্ত বেড়ে ১৯৫। এর মধ্যে ৩২ জন বিদেশি নাগরিক। মহারাষ্ট্রে সর্বাধিক আক্রান্ত ৪৭ জন। কেরলে ২৮, উত্তরপ্রদেশে ১৯, দিল্লিতে ১৭ জন করোনা আক্রান্ত। চিনা ভাইরাসে সংক্রমিত হরিয়ানায় ১৬ ও কর্ণাটকে ১৫ জন। লাদাখে ১০ জন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে।
লখনউতে আরও ৪ জনের শরীরে মিল করোনা সংক্রমণ। ওড়িশাতে মিলেছে দ্বিতীয় করোনা আক্রান্তের হদিশ। করোনা সংক্রমণে কর্ণাটক, দিল্লি, মুম্বাই ও পঞ্জাবে মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ২ জন। কলকাতায় মিলল দ্বিতীয় করোনা আক্রান্তের হদিশ। বর্তমানে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বালিগঞ্জের ওই তরুণ। তরুণের দুই বন্ধুর শরীরেও মিলেছে করোনা সংক্রমণ। ওই দু’ জন পঞ্জাব ও ছত্তীসগঢ়ের বাসিন্দা।
এদিকে, করোনার প্রভাব পড়ল দেশের অর্থনীতিতে। এবার ছাঁটতে হল আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাসের হারকে। খবর সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের। এর আগে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়। করোনা সংক্রমণের জেরে সেই আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ১ শতাংশ।