মুম্বইয়ে পেশায় নিরাপত্তারক্ষী এক মহিলার গর্ভাবস্থার প্রথম ধাপে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাঁর সংক্রমণের কোনও লক্ষণ ছিল না। তারপর নির্দিষ্ট দিনের মাথায় আবার করোনা করান ওই মহিলা। তাতে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপর গর্ভধারণের ১৩ সপ্তাহে তিনি যে আলট্রা সনোগ্রাফি করান, তাতে দেখা যায় গর্ভস্থ ভ্রুণটি নিস্প্রাণ। পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাঁর গলা ও নাক থেকে যে লালারস সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা করা হয়, তাতে ফল নেগেটিভ হলেও, একটি টিস্যুতে থেকে গেছিল ভাইরাস। যা অ্যাম্বিলিকাল কর্ড ও প্লাসেন্টা মারফত গিয়ে পৌঁছায় ভ্রুণে। তাতেই ভ্রুণের মৃত্যু হয়।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ রিসার্চ ইন রিপ্রোডাকটিভ হেলথ বা NIRRH এর তরফে জানানো হয়েছে, এমন ঘটনা এই প্রথম দেখা গেল, যেখানে গলা থেকে লালারসের নমুনা পরীক্ষা করে কোভিড-নেগেটিভ পাওয়ার এতদিন পর শরীরের অন্য এত টিস্যুতে মিলল ভাইরাসের অস্তিত্ব। সেই ভাইরাস আবার প্লাসেন্টা মারফত শরীরের অন্যত্র ছড়ায়।
NIRRH এর প্লাসেন্টা বিশেষজ্ঞের মতে, এক্ষেত্রে ভাইরাসের ভার্টিকাল ট্রান্সমিশন হয়েছে। ভাইরাস গিয়ে পৌঁছেছে ভ্রুণে। থাবা বসিয়েছে ভ্রুণের ফুসফুসে। ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে গর্ভেই নষ্ট হয়েছে প্রাণ।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে মায়ের থেকে গর্ভস্থ শিশুর শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কা।