নয়াদিল্লি: নয়াদিল্লি: নিট-জেইই নিয়ে একজোট বিরোধীরা। সনিয়া ও মমতার ডাকে আজ বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের ভার্চুয়াল বৈঠক। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বিরোধীদের নিয়ে এই বৈঠকের জন্য গতকাল ফোন করে মমতাকে প্রস্তাব দেন কংগ্রেস সভানেত্রী।


মমতা প্রস্তাব দেন বৈঠকের আলোচ্য বিষয় হোক করোনা পরিস্থিতিতে নিট এবং জেইই-র বিরোধিতা। সনিয়া সেই প্রস্তাব মেনে নেন বলে এএনআই সূত্রে খবর।


আজ দুপুর আড়াইটেয় এই ভার্চুয়াল বৈঠক হওয়ার কথা। কংগ্রেস-শাসিত ছত্তীসগঢ়, পঞ্জাব, পুদুচেরির পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীদেরও এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা।


করোনা সঙ্কটের আবহে নিট ও জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেইনের পরীক্ষা পিছোনোর জন্য আগেই মোদি সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও, পরীক্ষা নিয়ে পড়ুয়াদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে! কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছে পরীক্ষার্থীদের একাংশও।


পরীক্ষা পিছোনোর অনুরোধ করে নরেন্দ্র মোদিকে মঙ্গলবার ফের একবার চিঠি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, আজই আমরা ন্যাশনাল টেস্টিং অথরিটির কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছি। সেখানে ১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ নিয়ে আমরা অত্যন্ত চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন।


প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছেন, আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করব পড়ুয়াদের স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টে তাদের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করার জন্য আবেদন করতে।


জয়েন্ট এন্ট্রান্স বা নিট পরীক্ষা সাধারণত এপ্রিল-মে মাসেই হয়। কিন্তু করোনা সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


প্রথমে বলা হয়, সব পরীক্ষাই হবে জুলাইতে। কিন্তু, জুলাই মাসেও দেশজুড়ে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় পরীক্ষা ফের পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে ঠিক হয় সেপ্টেম্বরে হবে পরীক্ষা।


এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিভিন্ন রাজ্যের ১১ জন ছাত্র। কিন্তু, সর্বোচ্চ আদালত সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। কেন্দ্রও জানায়, তারা পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত!