এই ব্যক্তির নাম ইয়ান জোন্স। তিনি সেবামূলক কাজের জন্য ভারতে আসেন। এদেশে এসে একের পর এক রোগে আক্রান্ত হন তিনি। এরপর রাজস্থানের যোধপুরে তাঁকে ছোবল মারে গোখরো। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। সেখানে কিছুদিন থাকার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি।
ইয়ানের ছেলে সেব জোন্স জানিয়েছেন, ‘বাবা বরাবরই লড়াকু। ভারতে আসার পর তিনি প্রথমে ম্যালেরিয়া, তারপর ডেঙ্গি এবং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তারপর তাঁকে সাপ কামড়ায়। অতিমারীর জন্য তাঁর পক্ষে দেশে ফেরাও সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন। চিকিৎসার খরচ এবং দেশে ফেরার জন্য আমরা সবার কাছ থেকে সাহায্য চাইছি।’
যোধপুরের একটি হাসপাতালের চিকিৎসক অভিষেক তাতের জানিয়েছেন, ‘গত সপ্তাহে একটি গ্রামে গিয়েছিলেন ইয়ান। সেখানেই তাঁকে ছোবল মারে গোখরো। প্রথমে আমাদের মনে হয়েছিল, তিনি (দ্বিতীয়বার) করোনা আক্রান্ত। কিন্তু করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তাঁর সংজ্ঞা থাকলেও, সাপের কামড়ের ফলে যে উপসর্গগুলি দেখা যায়, সেগুলি ছিল। তাঁর দৃষ্টি ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছিল, হাঁটতেও সমস্যা হচ্ছিল। তবে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে, তাঁর শরীরে গোখরোর বিষের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব থাকবে না।’
সেব জানিয়েছেন, তাঁর বাবা রাজস্থানের স্থানীয় হস্তশিল্পীদের সঙ্গে কাজ করছিলেন। এই শিল্পীদের তৈরি জিনিসপত্র যাতে ব্রিটেনে রফতানি করা যায়, তার ব্যবস্থা করছিলেন তিনি। কিন্তু এই কাজ চলাকালীনই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।