পটনা: করোনা ভাইরাসের দাপটে ত্রস্ত সারা দেশ। প্রত্যেকদিনই হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে বেডের অভাব, অক্সিজেনের অভাব নিয়ে হাহাকারের ছবিও দেখেছে দেশে। এরইমধ্যে মানুষের অসহায়তার সুযোগও নিচ্ছে কিছু দুষ্কৃতী। বিহারের রাজধানী পটনায় এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এসেছে। অভিযোগ, পটনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এক ৪৫ বছরের মহিলাকে ধর্ষণ করল তিন কর্মী। করোনা আক্রান্ত সেই মহিলা শেষপর্যন্ত লড়াইয়ে হার মানলেন। বুধবার মারা গেলেন তিনি। 
নির্যাতিতার মেয়ের অভিযোগ, তাঁর মা গত ১৭ মে শহরের এক নামী বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, আমার মায়ের করোনার উপসর্গ ছিল। সেজন্য আমরা ওই হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করেছিলাম। তার শারীরিক অবস্থা ভালোই ছিল। গত ১৭ মে পায়ে হেঁটেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। 
নির্যাতিতার মেয়ের অভিযোগ, ১৭ মে ভর্তির দিনেই তাঁর মাকে হাসপাতালেই যৌন নিগ্রহ করা হয়। তাঁর মায়েই তাঁকে পুরো ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। এই ঘটনার পর থেকেই তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকে। নির্যাতিতার মেয়ে পুরো ঘটনা আত্মীয় স্বজন ও জন অধিকার পার্টি (জেএপি)-র মহিলা শাখাকে জানিয়েছিলেন। 
নির্যাতিতার মেয়ে বলেছেন, এরইমধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর মাকে ভেন্টিলেটরে নিয়ে যায় এবং এ ব্যাপারে একটি ফরমে তাঁকে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। চিকিৎসকরা জানান যে, তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে। তাঁকে ভেন্টিলেটরে নিয়ে যাওয়া না হলে জীবন সংশয় ঘটতে পারে। 
নির্যাতিতার মেয়ে বলেছেন, তাঁর সন্দেহ চিকিৎসকরা এমন ব্যবস্থা করেন যে, তিনি যেন পুলিশের কাছে বয়ান না দিতে পারেন। গলায় টিউব পরিয়ে দেন। বুধবার জানানো হয় যে, তিনি মারা গিয়েছেন। 
পটনার ম্যাজিস্ট্রেট এমএল খান বলেছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আমরা মৃতের মেয়ের অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগে অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করা হয়নি। যৌন নিগ্রহ হয়েছে কিনা, তা জানতে মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। 
খান জানিয়েছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনা সংক্রমণের কারণে এই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে।