নয়াদিল্লি: আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ ভারতের ১৩০ কোটি জনসংখ্যার অন্তত অর্ধেক নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত হবে এবং তা এই রোগের প্রসারের গতি কমাতে সাহায্য করবে বলে অভিমত জানালেন সরকার নিযুক্ত কমিটির সদস্য মণীন্দ্র আগরওয়াল।  কমিটিকে করোনা সংক্রমণের চেহারা কী  হতে পারে, তা আগাম আনুমানিক হিসাব কষতে বলা হয়েছিল। ভারতে এপর্যন্ত মোট সংক্রমণের  সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৫ লক্ষের বেশি। মোট সংক্রমণের বিচারে আমেরিকার পরই ভারতের স্থান। যদিও সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে  গেলেও বর্তমানে তা হ্রাস পেয়েছে। গড়ে দৈনিক ৬১৩৯০টি নতুন কেস আসছে।


এই প্রেক্ষাপটেই কানপুর আইআইটির প্রফেসর তথা সরকারি কমিটির সদস্য আগরওয়াল বলেন, আমাদের আঙ্কিক মডেল বলছে, দেশের সামগ্রিক জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ বর্তমানে সংক্রমিত হয়েছে। ফেব্রুয়ারি নাগাদ তা বেড়ে ৫০ শতাংশ হতে পারে।  ভাইরাসের বর্তমান সংক্রমণের গতি নিয়ে কমিটির হিসেব ফেডেরাল সরকারের সেরোলজিকাল সার্ভের চেয়ে অনেকটাই বেশি। সেরোলজিকাল সমীক্ষায় প্রকাশ, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৪ শতাংশের মধ্যে ভাইরাস  সংক্রমণ ছড়িয়েছে। কিন্তু আগরওয়ালের বক্তব্য, জনসংখ্যার যে আয়তনের ওপর সেরোলজিকাল সার্ভে করা হয়েছে, তাতে  ঠিকঠাক নমুনা সমীক্ষার হিসাব হয়ত পাওয়া যাবে না। পরিবর্তে ভাইরোলজিস্ট, বিজ্ঞানী ও অন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে  গঠিত কমিটি একটি আঙ্কিক মডেলের ওপর ভিত্তি করে রিপোর্ট তৈরি করেছে। রবিবার তাদের রিপোর্ট বেরিয়েছে। আগরওয়াল বলেন, আমরা একটা নতুন মডেল বের করেছি, যাতে রিপোর্ট না হওয়া কেসগুলিকে হিসাবে ধরা হয়েছে। সুতরাং আমরা সংক্রমিত মানুষজনকে দুটি ভাগে ভাগ করতে পারি। একটি হল রিপোর্ট হওয়াক কেস, আরেকটি রিপোর্ট না হওয়া সংক্রমণের কেস। কমিটি হুঁশিয়ারি দিয়েছে, সুরক্ষাবিধি অর্থাত্ মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ববিধি পালিত না হলে তাদের অনুমান মিলবে না, এক মাসেই সংক্রমণ সংখ্যা ২.৬ মিলিয়নে ঠেকতে পারে।