নয়াদিল্লি: দেশে চলছে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপট। এরইমধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে করোনা টিকার জোগানের অভাব নিয়ে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহে অভাবের অভিযোগ করছে। এরইমধ্যে ভ্যাকসিন নষ্টও হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী,  সবচেয়ে বেশি ভ্যাকসিনের ডোজ নষ্ট হচ্ছে ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিসগড়ে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের জারি করা পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী, এই দুটি রাজ্যে প্রতি তিনটি ভ্যাকসিন ডোজের মধ্যে একটি নষ্ট হচ্ছে। দেশে ভ্যাকসিন নষ্টের হার ৬.৩ শতাংশ। কিন্তু ঝাড়খণ্ডে যত ভ্যাকসিন সরবরাহ হয়েছে, তার মধ্যে ৩৭.৩ শতাংশ নষ্ট হয়েছে। একই হাল ছত্তিসগড়েও। সেখানে সরবরাহ করা ভ্যাকসিনের ৩০.২ শতাংশ নষ্ট হয়েছে। 
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, সরবরাহকৃত ভ্যাকসিনের ১ শতাংশও যাতে নষ্ট না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। কিন্তু ঝাড়খণ্ডে (৩৭.৩ শতাংশ), ছত্তিসগড়ে (৩০.২ শতাংশ), তামিলনাড়ুতে (১৫.৫ শতাংশ), জম্মু ও কাশ্মীরে (১০.৮ শতাংশ) ও মধ্যপ্রদেশে (১০.৭ শতাংশ) জাতীয় হারের চেয়ে অনেক বেশি হারে ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে। 
একইসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, কোনও বড় টিকাকরণ অভিযানে অল্পস্বল্প টিকা নষ্ট হয়ে থাকে। রাজ্যগুলিতে তাদের জনসংখ্যা ও প্রয়োজন অনুসারে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়। এরমধ্যে কত ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে, তা এই পরিসংখ্যানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যে রাজ্যগুলিতে বেশি ভ্যাকসিন নষ্ট হচ্ছে, সেই রাজ্যগুলি টিকাকরণ অভিযান সঠিকভাবে চালাচ্ছে না। এর একটি কারণ তথ্যের অভাবও। এই রাজ্যগুলিকে টিকাকরণের ক্ষেত্রে কোনও ধরনের গাফিলতি এড়িয়ে চলতে হবে। কোনও টিকার ডোজ নষ্ট হওয়া মানে তাতে কোনও এক ব্যক্তি টিকা নেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। 
যদিও ঝাড়খণ্ড সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বক্তব্য খারিজ করেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বলেছেন,  তাঁদের সরকার ভ্যাকসিন সঠিকভাবেই ব্যবহার করছে এবং ভ্যাকসিন নষ্টের হার কম রাখাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। তিনি কেন্দ্রের পরিসংখ্যাণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ঝাড়খণ্ডকে এখনও পর্যন্ত যত ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, তা মাত্র ৪.৬৫ শতাংশ নষ্ট হয়েছে। কোউইন অ্যাপে প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য রাজ্যের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত তথ্য আপডেট হচ্ছে না।