নয়াদিল্লি: মারাত্মক করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আরও ছড়ানো ঠেকাতে লকডাউন  হয়তো প্রয়োজন, কিন্তু তা অপরিকল্পিত কায়দায় কার্যকর করা হচ্ছে, ফলে অগুণতি পরিযায়ী শ্রমিক চরম দুর্ভোগে পড়েছেন, বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণকারী মঞ্চ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বললেন সনিয়া গাঁধী। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী মনে করেন, কোভিড ১৯ এর মোকাবিলায় লাগাতার, ভরসাযোগ্য পরীক্ষা করাতে হবে, এর কোনও বিকল্প নেই।  সরকারের কাছে যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের হ্যাজার্ড স্যুট ও এন ৯৫ মাস্কের  মতো ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই) এর ব্যবস্থা করার দাবি করেন তিনি। বলেন, আমাদের ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সব ধরনের সাহায্য দরকার।



বৈঠকের পর কংগ্রেসের তরফে প্রকাশিত সনিয়ার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস লকডাউনের ফলে উদ্ভূত সঙ্কট মোকাবিলায় একটা সার্বিক কৌশল কার্যকর করা উচিত সরকারের। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জেরে সামনে আসা নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনার জন্য় বৃহস্পতিবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠকে বসে বলে জানিয়ে সনিয়া বলেন., এক অভূতপূর্ব স্বাস্থ্য ও মানবিক সঙ্কটের মাঝখানে আমরা আজ আলোচনায় বসি। আমাদের সামনে এই চ্যালেঞ্জের গভীরতা বিশাল, তবে তাকে  পরাভূত করতে আমাদের জেদ, শপথ তার চেয়েও আরও বড় হওয়া উচিত।

কোভিড-১৯ এর ছুঁড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কংগ্রেস গোটা দেশের সঙ্গে এক সূত্রে বাঁধা বলে বৈঠকে মন্তব্য করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ।  এ কে অ্যান্টনি, রাহুল গাঁধী, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহও বৈঠকে ভাষণ দেন। রাহুল দাবি করেন, সব রাজ্য সরকার নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা থাকায় করোনাভাইরাসের খপ্পড়ে পড়ার বিপদ যাঁদের বেশি, তাঁদের জন্য বিশেষ অ্যাডভাইসরি প্রকাশ করুক। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস বিশেষ করে বয়স্ক মানুষ, ফুসফুসের অসুখ, ডায়াবেটিস, হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকা লোকজনকে বেশি ধরে দ্রুত কাবু করে ফেলছে। ওঁদের বিপদ সবচেয়ে বেশি। এই ধরনের লোকজনের জন্য বিশেষ পরামর্শের ব্যবস্থা করে নজর রাখুক রাজ্য সরকারগুলি।