পটনা: ২৭ দিনে ৩৬ জনের মৃত্যু ঘিরে করোনা আতঙ্ক ছড়াল বিহারে। ঘটনাটি ঘটেছে মুজফফরপুরের সাকরা ব্লকে। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, কোভিডের কারণেই ওই ব্যক্তিদের মৃত্যু ঘটেছে। যদিও মহামারীর আশঙ্কা খারিজ করছে স্থানীয় প্রশাসন।


রাস্তাঘাট ফাঁকা। ভয়ের কারণে বাড়ির বাইরে পর্যন্ত বেরোচ্ছে না গ্রামের মানুষ। মুজফফরপুরের সরামস্তপুর পঞ্চায়েতের সাকরা ব্লক ঘিরে এখন শুধু করোনার আতঙ্ক। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই কাশি-জ্বরের মতো উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। তাতে আরও ভয় বেড়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে।


সংবাদ সংস্থা এএনআইকে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই গ্রামের ৩৬ জন মারা গিয়েছেন। আগামীদিনে এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে। কারণ, গ্রামের আরও কিছু পরিবারের লোকজন অসুস্থ। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগেরই কাশি, জ্বরের মতো উপসর্গ ছিল।


এ প্রসঙ্গে সাকরা ব্লকের গ্রাম প্রধান প্রমোদ কুমার গুপ্তা বলেন, ''সম্প্রতি গ্রামের কিছু প্রবীণ ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। বাকিদের সর্দি, কাশি জ্বর নিয়ে মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের কাছে জানিয়েছি। কেন হঠাৎ করে গ্রামে মৃতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করল, তা দেখতে বলেছি প্রশাসনকে।''


তবে বিষয়টি নিয়ে তিনি যে উদ্বিগ্ন তা প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন গ্রাম প্রধান। তিনি বলেন, ''২৭ দিনে ৩৬ জনের কাশি-জ্বর নিয়ে মৃত্যুর পরই ব্লক মেডিক্যাল অফিসারকে খবর দিয়েছি। তবে সেখানে পরীক্ষার কিট মজুত ছিল না। এ বিষয়ে জেলাশাসকের কাছেও খবর দেওয়া হয়। মৃতদের নমুনা পরীক্ষার কিটের কথা বলেছি। ইতিমধ্যেই অজানা রোগের কারণ জানতে কিট দিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছে।''


যদিও বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন মতপ্রকাশ করেছেন সাকরার পিএইচসি সঞ্জীব কুমার। তিনি বলেন, ''গ্রামের সবার করোনায় মৃত্যু হয়েছে এই বিষয়টা সত্যি নয়। অনেকে অন্য রোগেও মারা গিয়েছেন।''


গ্রামের এই অবস্থার মধ্যেই চলছে কোভিড যুদ্ধের সরঞ্জাম নিয়ে কালোবাজারি। কদিন আগেই সাকরায় হাজারেরও বেশি অ্যান্টিজেন কিটস, স্যানিটাইজার বেআইনিভাবে মজুত করার অপরাধে গ্রেফতার করা হয় অসাধু চক্রের পান্ডাদের।