কলকাতা: বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে করোনার টিকাকরণ নিয়ে গাইডলাইন পাঠাল রাজ্য সরকার। রাজ্যের পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ৩০ এপ্রিলের পর করোনা ভ্যাকসিনের সমস্ত পুরনো স্টক রাজ্য সরকারকে ফেরত দিতে হবে। ১ মে থেকে করোনার টিকাকরণ চালাতে হলে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সরাসরি উৎপাদনকারী সংস্থার কাছ থেকে ভ্যাকসিন কিনে নিতে হবে। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, কোনও বেসরকারি হাসপাতাল যদি ভ্যাকসিন কিনতে না পারে এবং তার জন্য় যদি সেই হাসপাতালের টিকাকরণ কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যায়, কর্তৃপক্ষের তরফে তা নোটিশ জারি করে জানিয়ে দিতে হবে সাধারণ মানুষকে।



এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, তৃতীয় দফায় ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলেই টিকা পাবেন। সেই মতো দেশজুড়ে আগামী ১ মে শুরু হচ্ছে তৃতীয় দফার টিকাকরণ কর্মসূচি। তবে ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশনের জন্য এ ক্ষেত্রে প্রথমে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। আগে থেকে কো-উইনে স্লট বুক করে নির্ধারিত সময় মতো ভ্যাকসিন নিতে যেতে হবে। হাসপাতালে এসে সরাসরি ভ্যাকসিন নিতে পারবেন না কেউ।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন কেনার ক্ষেত্রে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য আলাদা আলাদা দাম নির্ধারণ করেছে প্রস্তুতকারী সংস্থা। পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকে আরও বেশি দাম দিয়েই ভ্যাকসিন কিনতে হবে বলে জানানো হয়েছে। রাজ্যগুলির সরকারি সংস্থার জন্য কোভিশিল্ডের দাম ধার্য হয়েছে ৪০০ টাকা। বেসরকারি হাসপাতালকে কোভিশিল্ড কিনতে হবে ৬০০ টাকায়। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ১৫০ টাকায় কোভিশিল্ড বিক্রি করবে সিরাম ইনস্টিটিউট।

অন্যদিকে কোভ্যাক্সিন নির্মাণকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, সরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে কোভ্যাক্সিনের দাম ধার্য করা হয়েছে ৬০০ টাকা। বেসরকারি হাসপাতালকে কোভ্যাক্সিন কিনতে হবে ১২০০ টাকায়।

এতদিন‌ কেন্দ্রই রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে ভ্যাকসিন পাঠাত। তবে এবার কেন্দ্র আর রাজ্যগুলির ভ্যাকসিনের খরচ বহন করবে না বলেই জানিয়েছে। যদিও রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ৫ মে থেকে ১৮ বছর  ভ্যাকসিন চালু করার কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এও জানিয়েছেন, ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।