ইতালিতে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৩৪০০-র বেশি। যে চিন থেকে সারা বিশ্ব ও ভারতে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে, সেখানে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩২০০। ইতালিতে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি। চিনে এই সংখ্যা ৮০ হাজারের বেশি।
দিল্লিতে আইটিবিপি-র কোয়ারেন্টিন সেন্টারে চিন থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা ভারতীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, চিনের উহান শহর এখন সম্পূর্ণভাবে সেনার নিয়ন্ত্রণে। কেননা, ভাইরাসের প্রকোপ এতটাই তীব্র যে পরিস্থিতি সামলানোর জায়গায় নেই প্রশাসন।
উল্লেখ্য, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট করোনাভাইরাসকে যুদ্ধর মতো আখ্যা দিয়েছেন। অন্যদিকে, জার্মানির চ্যান্সেলর একে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বলে অভিহিত করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছিলেন যে, এখন করোনাভাইরাস এত দেশে ছড়িয়ে পড়েছে যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এতগুলি দেশে ছড়িয়ে পড়েনি।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ ভাইরাসে ১০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় আড়াই লক্ষ। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে চিন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি থেকে শুরু করে ভারত,পাকিস্তান, মধ্যপ্রাচ্যের ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, ইউরোপের ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি ও সুদূর পশ্চিমে আমেরিকা ও কানাডা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাসের প্রকোপ।
ভারতে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২২৩। চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সেনা, বায়ুপসেনা ও নৌসেনা পুরোপুরি প্রস্তুত। সেনা মানেসর, জয়সলমীর ছাড়াও যোধপুর, সুরতগঢ়, চেন্নাই, কোলকাতা, সেকেন্দ্রাবাদ, উধমপুরে কোয়ারেন্টিন সেন্টার তৈরি করেছে। সেইসঙ্গে সামরিক হাসপাতালগুলিকে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিত্সার জন্য অ্যালার্টও করে দেওয়া হয়েছে।