ভোপাল: তিনি নিজে করোনাভাইরাস আক্রান্ত। এক  সপ্তাহ হল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখান থেকেই জানালেন, করোনা মোকাবিলায় তিনি বেতনের ৩০ শতাংশ অর্থাৎ ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দান করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। তিনি মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।


দেশে রোজই রেকর্ড গড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। মৃত্যু ও সংক্রমণের হারে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের অবস্থাটা মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়। তার মধ্যেই করোনা মোকাবিলায় তাঁর শেষ তিন মাসের বেতনের ৩০ শতাংশ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দিলেন শিবরাজ। বিধায়কদের তহবিল থেকেও টাকা দিতে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। শিবরাজের কথায়, ‘মার্চের যে দিন থেকে  মুখ্যমন্ত্রী হয়েছি, সেই দিন থেকে বেতন ও আনুষাঙ্গিকের ৩০ শতাংশ অর্থাৎ ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যেরও  দিতে আবেদন করছি। কোভিড ১৯-কে পরাস্ত করতেই হবে। মানুষকে পাশে নিয়ে ১ অগস্ট থেকে রাজ্যজুড়ে আমরা প্রচার শুরু করছি--সঙ্কল্প কি চেন জোড়ো, সংক্রমণ কি চেন তোড়ো।’ গতকালই শিবরাজ বিধায়কদের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন, তাঁরাও যেন বেতনের ৩০ শতাংশ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করেন। রাজ্যের পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিধায়কেরা বেতনের ৩০ শতাংশ দিতে রাজি হয়েছেন।

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোমর বেঁধে নামতে চাইছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। বিধায়ক তহবিল থেকে মাস্ক, স্যানিটাইজার, ভেন্টিলেটর, পিপিই কিট, টেস্টিং কিট কেনার জন্য অর্থ বরাদ্দ করার আবেদন জানিয়েছেন। ২২টি জেলার ৫০০ কোটি টাকার ডিস্ট্রিক্ট মিনারেল ফান্ডের এক তৃতীয়াংশ কোভিড সংক্রান্ত কাজ ও কর্মসংস্থানের জন্য খরচ করার ঘোষণা করেছেন শিবরাজ।

মধ্যপ্রদেশে সুস্থতার হার কেন্দ্রীয় হারের তুলনায় বেশি। প্রায় ৭০ শতাংশ। এমনকী, মৃত্যুর হারও কমছে। এখন তা ২.৭ শতাংশ। এর পুরো কৃতিত্ব মধ্যপ্রদেশবাসীকে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘বিভিন্ন জায়গায় সংক্রমণ বাড়ছে। লকডাউন চালু রাখলে তা আবার অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলছে। কিন্তু আমরা লকডাউন না করে প্রয়োজনীয় সমস্ত সতর্কতা নিয়ে সংক্রমণের হার কমাতে পেরেছি।’