করোনা সংক্রমণ নিয়ে গবেষণা করেছেন ধনক এবং অন্য দুই অধ্যাপক সিদ্ধার্থ বর্মা ও জন ফ্র্যাঙ্কেনফিল্ড। গবেষণার বিষয়ে অধ্যাপক ধনক জানিয়েছেন, ‘ড্রপলেট অনেকটা জায়গাজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে সংক্রমণও ছড়ায়। আমরা দেখেছি, ফেস শিল্ড প্রাথমিকভাবে ড্রপলেট ছড়িয়ে পড়া আটকাতে পারে, কিন্তু ফেস শিল্ডের মধ্যে ড্রপলেট জমা হয়ে সারা মুখে ছড়িয়ে যায়।’
অধ্যাপক বর্মা জানিয়েছেন, ‘আমরা এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে দেখেছি, মাস্কের উপরের অংশ এবং নাকের সংযোগস্থলের মধ্যে যে সামান্য ফাঁক রয়েছে, সেখান দিয়েই ভালভের মাধ্যমে ড্রপলেট বাইরে বেরিয়ে আসে। ভালভের মধ্যে দিয়ে এভাবে ড্রপলেট বেরোতে বেরোতে মাস্কের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেকেই এখন কাপড়ের মাস্ক বা সার্জিক্যাল মাস্কের বদলে স্বচ্ছ প্লাস্টিকের ফেস শিল্ড ব্যবহার করছেন। অনেকে আবার ভালভ-যুক্ত মাস্কও ব্যবহার করছেন। ফেস শিল্ডের নীচে এবং দু’পাশে ফাঁক আছে। এটি ব্যবহার করলে ভালভাবে নিঃশ্বাস নেওয়া যায় না, কিন্তু যথেচ্ছ শ্বাস ছাড়া যায়। নিঃশ্বাস টানার সময় বিশুদ্ধ বাতাস পাওয়া যায়, অথচ শ্বাস ছাড়ার সময় দূষিত বাতাস বেরিয়ে আসে। এই দূষিত বাতাসের সঙ্গে ড্রপলেটও মিশে থাকে। ফলে সংক্রমণ ছড়ায়।’
গবেষকরা আরও বলছেন, সাধারণ মাস্কের বদলে বিকল্প মাস্ক ব্যবহার করার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। মাস্ক যদি উপযুক্ত না হয়, তাহলে করোনা সংক্রমণ এড়িয়ে থাকা কঠিন।