আইটিবিপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি আইটিবিপি-র মালবাহক হিসেবে কাজ করতেন। গত শুক্রবার ঘোড়ায় চড়ে জওয়ানদের জন্য খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় ধস নেমে তাঁর মৃত্যু হয়। পরদিন সাতজন জওয়ান ভূপেন্দ্রর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে হেঁটে লীলম নামে একটি গ্রামে পৌঁছন। এরপর রবিবার সকালে আইটিবিপি-র জিপে করে দেহটি পিথোরাগড়ের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। সোমবার সেখানেই শেষকৃত্য হয়। পিথোরাগড়ের জেলাশাসক বিজয় কুমার যোগদণ্ডে জানিয়েছেন, ‘মৃত ব্যক্তির স্ত্রী ও তিন সন্তান বর্তমান। ধসের সময় পাহাড় থেকে ছিটকে আসা পাথরের টুকরো লেগেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর পরিবারের লোকজন চপারের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে চপার নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তাই আমরা আইটিবিপি-র দ্বারস্থ হই। সাত জওয়ান দেহটি কাঁধে নিয়ে বুগদিয়ার থেকে মুন্সিয়ারি পর্যন্ত হেঁটে যান।’ দু’সপ্তাহ আগে আইটিবিপি জওয়ানরা আহত হওয়া এক মহিলাকেও চিকিৎসার জন্য বুগদিয়ার থেকে মুন্সিয়ারি পৌঁছে দিয়েছিলেন। ফের তাঁদের মানবিক আচরণ দেখা গেল। দুর্গম পাহাড়ি পথে মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে ২৫ কিমি হেঁটে বাড়িতে পৌঁছে দিলেন আইটিবিপি জওয়ানরা
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 02 Sep 2020 06:49 PM (IST)
দু’সপ্তাহ আগে আইটিবিপি জওয়ানরা আহত হওয়া এক মহিলাকেও চিকিৎসার জন্য বুগদিয়ার থেকে মুন্সিয়ারি পৌঁছে দিয়েছিলেন।
ছবি সৌজন্যে ট্যুইটার
দেহরাদুন: আট ঘণ্টা ধরে প্রায় ২৫ কিলোমিটার হেঁটে পরিবারের লোকজনের হাতে এক ব্যক্তির মৃতদেহ তুলে দিলেন আইটিবিপি জওয়ানরা। গত শুক্রবার, ২৮ অগাস্ট ধসে চাপা পড়ে ভূপেন্দ্র রানা নামে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তাঁর মৃতদেহ পড়েছিল উত্তরাখণ্ডের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে। তাঁর বন্ধুরা পরিবারের লোকজনকে খবর দেন। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে দেহটি তাঁদের পক্ষে তুলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। এরপর ভূপেন্দ্রর পরিবারের পক্ষ থেকে আইটিবিপি-র সাহায্য চাওয়া হয়। আইটিবিপি জওয়ানরা সাহায্য করতে রাজি হন। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টারে করে দেহটি নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। শেষে দুর্গম পাহাড়ি রাস্তায় মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে হেঁটে যান জওয়ানরা।