নয়াদিল্লি: সম্ভাব্য করোনা প্রতিষেধক তৈরির দৌড়ে সামিল বিশ্বের বহু দেশ। কে আগে বাজারে টিকা আনতে পারে তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে। নিরাপত্তা, রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা, কার্যকারিতা মাপকাঠি সংক্রান্ত নয়া নির্দেশিকা জারি করল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া বা ডিসিজিআই।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আমেরিকার খাদ্য ও ওষুধ নিয়ামক সংস্থার (এফএএ) নীতি অনুসরণ করে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য স্বেচ্ছাসেবী বা স্বেচ্ছাসেবকের ৫০ শতাংশ কার্যকারিতা থাকতে হবে।


শুধু তাই নয়, ওষুধ কোম্পানিগুলি যারা এধরনের টিকা তৈরি করছে তাদের এনহ্যান্সড রেসপিরেটরি ডিজিজ (ইআরডি)সম্ভাবনা সম্পর্কে সমস্ত তথ্য দিতে হবে।


যাঁরা মা হতে চলেছেন এবং যাদের মাতৃত্ব ধারনে সক্ষমতা রয়েছে সেসব ক্ষেত্রে ডিসিজিআই বাড়তি সতর্ক থাকতে বলেছে। ক্লিনিকাল ট্রায়ালের পর্যায়ের সুরক্ষা সংক্রান্ত সব ধরনের সতর্কতা মেনে চলতে বলা হয়েছে।


ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের কেউ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে টিকা দেওয়ার আগে গর্ভধারণের তারিখ বা টিকা প্রদানের ৩০ দিনের মধ্যে গর্ভাবস্থার পরিণতির দিকে নজর রাখতে হবে।


অন্তঃসত্ত্বাদের স্বাস্থ্য-সহ সব বিষয় ঠিক আছে কি না, যদি গর্ভস্থ ভ্রুণ নষ্ট হয়ে যায়, বা স্থবির শিশু জন্ম নিল কি না, জন্মগত কোনও ত্রুটি নিয়ে শিশুরা পৃথিবীর আলো দেখছে কিনা সে দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রতিষেধকের কার্যকারিতা অন্তত ৫০ শতাংশ হতে হবে। করোনা প্রতিষেধক তৈরির দৌড়ে থাকা অন্যতম সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, তারাও ৫০ শতাংশ কার্যকারিতার লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে।


ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব বলেছেন, ’’শ্বাসজনিত ভাইরাসের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ কার্যকরী প্রতিষেধক পাওয়া যায় না। যদিও সেই লক্ষ্যে আমরা এগোচ্ছি কিন্তু আমাদের মনে হয় ৫০-১০০ শতাংশ মধ্যে থাকবে টিকার কার্যকারিতা।‘‘


ডিসিজিআই টিকা প্রস্তুতকারী ওষুধ সংস্থাগুলিকে তাদের বিশ্লেষণের চূড়ান্ত রূপরেখা জানাতে বলা হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত মানদণ্ড রক্ষা করতে কোনও ট্রায়াল যদি ব্যর্থ হয়, তবে তার ক্লিনিকাল প্রয়োগ বা লাইসেন্সের পথে এগিয়ে যাওয়ার আগে তার ব্যর্থতার কারণগুলি খতিয়ে দেখতে হবে।