নয়াদিল্লি: ভারতে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণার জন্য বেছে নেওয়া হল ১২টি শহরকে। এই শহরগুলি হল হায়দরাবাদ, পটনা, কাঞ্চিপুরম, রোহতক, দিল্লি, নাগপুর, ভুবনেশ্বর, বেলগাম, গোরক্ষপুর, কানপুর, গোয়া ও বিশাখাপত্তনম। ইতিমধ্যেই হায়দরাবাদ, পটনা, কাঞ্চিপুরম, রোহতক ও দিল্লিতে কোভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। এরপর বাকি শহরগুলিতেও ট্রায়াল শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।
গতকাল দিল্লি এইমসে এক যুবকের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। ভারতে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির অনুমতি পেয়েছে ভারত বায়োটেক ও জাইডাস ক্যাডিলা। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কোভ্যাকসিন তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক। দিল্লি ও পটনার এইমস, পিজিআই রোহতক সহ ১২টি হাসপাতালে এই ভ্যাকসিনের ‘হিউম্যান ট্রায়াল’ হবে। ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সি পাঁচশোর বেশি সুস্থ ব্যক্তির শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।
জাইডাস যে ভ্যাকসিন তৈরি করেছে, সেটির পরীক্ষা আপাতত এই সংস্থার গবেষণা কেন্দ্রেই চলছে। তবে ভবিষ্যতে আরও কয়েকটি শহরে হতে পারে গবেষণা।
দিল্লি এইমসের চিকিৎসক সঞ্জয় রাই জানিয়েছেন, ‘৩০ বছর বয়সি যে ব্যক্তির শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে কোভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে, তাঁকে আমরা দু’ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখি। তাঁর শরীরে কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি। সেই কারণে তাঁকে বাড়ি চলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। দু’দিন পরে ফের তাঁর শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে দেখা হবে।’
পটনা এইমসের ডিরেক্টর পি কে সিংহ –জানিয়েছেন, ‘১৫ জুলাই যে ১১ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে কোভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়, তাঁদের মধ্যে বিশেষ কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি। শুধু শরীরের যেখানে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়, সেই জায়গাটি লাল হয়ে গিয়েছিল, যন্ত্রণা হচ্ছিল আর সামান্য জ্বর এসেছিল। সেটা যে কোনও ভ্যাকসিনের পরীক্ষার ক্ষেত্রেই হতে পারে। এছাড়া আর কোনও সমস্যা হয়নি। ২৯ জুলাই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। কতটা অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে, সেটা আমরা দেখব।’