নয়াদিল্লি: এখনও করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি না হলেও, আশার আলো দেখা যাচ্ছে। কয়েক মাসের মধ্যেই চলে আসতে পারে করোনার প্রতিষেধক। এই পরিস্থিতিতে সারা দেশে প্রতিষেধক বণ্টনের জন্য টাস্ক ফোর্স গঠন করল কেন্দ্রীয় সরকার। বিভিন্ন মন্ত্রক ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে এই টাস্ক ফোর্সে। উপযুক্ত প্রতিষেধক চিহ্নিত করা, কেনা, বণ্টন ও ব্যবস্থাপনার বিষয়টি দেখবে এই টাস্ক ফোর্স।


বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশের মতো ভারতেও করোনার প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা চলছে। দ্বিতীয় বা তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চলছে। ভারতে তৈরি হওয়ার আগেই যদি রাশিয়া বা অন্য কোনও দেশে প্রতিষেধক তৈরি হয়ে যায়, তাহলে সেখান থেকে এদেশে প্রতিষেধক আনার বিষয়ে চুক্তিও হয়েছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, টাস্ক ফোর্সের প্রধান করা হচ্ছে নীতি আয়োগের সদস্য ড. ভি কে পালকে। তাঁর সঙ্গে থাকছেন স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া, বিদেশমন্ত্রক, জৈবপ্রযুক্তি মন্ত্রক, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক, স্বাস্থ্য পরিষেবা বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল, এইডস রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এবং রাজ্যগুলির প্রতিনিধিরা থাকবেন। ভারতে ব্যবহারের জন্য কোন ভ্যাকসিন বেছে নেওয়া হবে, কত অর্থ খরচ করা হবে এবং কীভাবে সারা দেশে বিতরণ করা হবে, সেটা ঠিক করবে এই টাস্ক ফোর্স। ভ্যাকসিন বণ্টনের প্রক্রিয়ায় বিদেশের কোনও সংস্থাকে যুক্ত করা হবে কি না, কেন্দ্রীয় সরকার গোটা প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করবে না রাজ্য সরকারগুলিকে স্বাধীনতা দেওয়া হবে, সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেবে টাস্ক ফোর্স। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারত সহ দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত প্রতিষেধক বিলির ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেটাও নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।