নয়াদিল্লি: করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে রাশিয়া। বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্য়াকসিন সরকারিভাবে নথিবদ্ধ করেছে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। তবে তা পুরোপুরি বিতর্কমুক্ত হতে পারছে না। রাশিয়ার করোনা টিকার দু মাসেরও কম সময়ের মানব ট্রায়াল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নানা দেশের বিশেষজ্ঞরা। এই টিকাকে এখনই কতটা মান্যতা দেওয়া যায়, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। অনেকেই কটাক্ষ করে বলেছেন, সুরক্ষার থেকে সম্মানকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে পুতিনের দেশ।

এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপ শাখা জানাল, তারা করোনা টিকা নিয়ে রাশিয়ার কাছে আরও বিশদে তথ্য জানতে চেয়েছে। রাশিয়ার আধিকারিকেরা দাবি করছেন, তাঁদের আবিষ্কৃত টিকার কার্যকারিতা দীর্ঘদিন স্থায়ী হবে। যদিও তার স্বপক্ষে পোক্ত কোনও প্রমাণ তাঁরা দিতে পারেননি।

এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিন জরিপ করতে চায় হু। তাদের ইউরোপীয় শাখার সিনিয়র ইমার্জেন্সি আধিকারিক ক্যাথরিন স্মলউড বলেছেন, ‘করোনার টিকা আবিষ্কারের বিভিন্ন পর্ব ও পদ্ধতি নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করছি আমরা। সেই মতো আমরা নিজেদের অবস্থান জানাব।’ হু-র ইউরোপের ডিরেক্টর ডঃ হান্স ক্লুগ যদিও জানিয়েছেন, করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের প্রত্যেক উদ্যোগকে তাঁরা স্বাগত জানাচ্ছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার করোনা টিকা সামান্য কিছু মানুষের ওপরই প্রয়োগ করা হয়েছে এবং তাঁরা সুরক্ষার সমস্ত দিক নিশ্চিত করার পর এ নিয়ে অবস্থান ঘোষণা করতে চান। তাড়াহুড়োতে ভুল করতে চান না।