নয়াদিল্লি: মে-জুন থেকে দীপাবলি পর্যন্ত চালু থাকবে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা, ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় চালু থাকবে প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা। মে-জুন থেকে দীপাবলি পর্যন্ত চালু থাকবে প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা।’
মোদি বলেছেন, টিকাকরণ চললেও কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে করোনা বিধি। তিনি বলেছেন,এই কঠিন সময়ে কেউ খালি পেটে থাকবে না। আগামী দীপাবলি পর্যন্ত চালু থাকবে নিখরচার রেশন।
এদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে কোভিড-১৯ অতিমারী মোকাবিলায় সরকারের প্রচেষ্টার উল্লেখ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই প্রকল্পের আওতায় ৮০ কোটি মানুষকে নিখরচায় রেশন দেওয়া হবে আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত। উল্লেখ্য, এর আগে কেন্দ্র সরকার চলতি বছরের মে-জুন মাসের জন্য প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় নিখরচায় খাদ্যশষ্য দেওয়ার কথা জানিয়েছিল।
সরকারের এই ঘোষণা অনুযায়ী, ৮০ কোটি উপভোক্তাকে প্রতি মাসে পাঁচ কেজি খাদ্যশষ্য সরবরাহ করা হবে। এই উদ্যোগের জন্য কেন্দ্র ২৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
দেশের দরিদ্রদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কেন্দ্র গত বছরের মতো এ বছরও এই প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশ যখন করোনা অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তখন প্রধানমন্ত্রী দরিদ্রদের পুষ্টির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার লক্ষ্য হল-দেশের কেউই, বিশেষ করে দরিদ্র পরিবারগুলিকে যাতে কোনওভাবেই খাদ্যসংকটের মুখে পড়তে না হয়। প্রায় ৩৮০ কোটি মানুষ, দেশের জন সংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এই প্রকল্পের আওতাধীন। তাঁদের প্রত্যেককে এই প্রকল্পের আওতায় তাঁদের প্রাপ্যের প্রায় দ্বিগুণ রেশন দেওয়া হয়। ৮০ কোটি প্রাপককে বিনামূল্যে পাঁচ কেজি খাদ্যশষ্য দেওয়া হয়।
এদিন প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছেন, আগামী ২১ জুন সোমবার থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কেন্দ্র ভ্যাকসিন কিনে রাজ্যগুলিকে দেবে। দরিদ্র, মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত সবাইকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তবে যে ব্যক্তি ফ্রি ভ্যাকসিন নিতে চান না, তাঁদের জন্য আলাদা ভাবনা।