সিদ্ধার্থ নগর: ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজে দেওয়া হয়েছিল কোভিশিল্ড, কিন্তু দ্বিতীয় ডোজে দেওয়া হল কোভ্যাকসিন! এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থ নগরে। যাঁরা দু’বার দু’রকম ভ্যাকসিন পেয়েছেন, তাঁরা এখন রীতিমতো আতঙ্কে। শরীরে এর কী প্রভাব পড়বে, সেটা কেউই বুঝতে পারছেন না।


স্থানীয় সূত্রে খবর, এই ঘটনা ঘটেছে সিদ্ধার্থ নগর জেলার বারহনি প্রাথমিক স্বাস্থ্য অঞ্চলে। আউদাহি কলন গ্রামের ২০ জন বাসিন্দাকে প্রথমে কোভিশিল্ড দেওয়া হয়। কিন্তু গত ১৪ মে তাঁদের কোভ্যাকসিন দেওয়া হয়। স্বাস্থ্যকর্মীদের গাফিলতির ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ার পরেই স্বাস্থ্যকর্মীরা একে অপরকে দোষারোপ করতে শুরু করেছেন। দু’রকম ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এখনও পর্যন্ত কারও স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে বলে জানা যায়নি। কিন্তু সবাই এই ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন। ভ্যাকসিন আদৌ কাজ করবে কি না, সেই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে।


সিদ্ধার্থ নগর জেলার চিফ মেডিক্যাল অফিসার সন্দীপ চৌধুরী এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর দাবি, স্বাস্থ্যকর্মীদের গাফিলতির ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।


চিফ মেডিক্যাল অফিসার বলেছেন, ‘যাঁরা দু’বার দু’রকম ভ্যাকসিন পেয়েছেন, তাঁদের স্বাস্থ্যের দিকে আমাদের নজর রয়েছে। এখনও পর্যন্ত কারও কোনও সমস্যা হয়নি। এই ধরনের গাফিলতি অত্যন্ত গুরুতর। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়লেই দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না।’


ভ্যাকসিনের আকাল নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক চলছে। ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার কতদিন পরে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া উচিত, সেটা নিয়েও বিভিন্ন মত শোনা যাচ্ছে। কিন্তু এর আগে কোথাও দু’বার দু’রকম ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা শোনা যায়নি। উত্তরপ্রদেশেই প্রথম এই ঘটনা ঘটল। এর দায় কার, সেই প্রশ্ন থাকছেই। প্রথম ডোজ কোন ভ্যাকসিন ছিল, সেটা কীভাবে সবার নজর এড়িয়ে গেল, সেই প্রশ্নও উঠে গিয়েছে।