ওয়াশিংটন: করোনাভাইরাসের দাপটে বিরাট ক্ষতি হয়েছে আমেরিকার। ধাক্কা লেগেছে মার্কিন অর্থনীতিতে। অভাবনীয় সঙ্কটের মুখে তাই আমেরিকায় অভিবাসন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি মঙ্গলবার সকালে ট্যুইট করেছেন, অদৃশ্য শত্রুর আক্রমণের প্রেক্ষিতে, মহান আমেরিকার নাগরিকদের কাজ বাঁচানোর প্রয়োজনে আমি আমেরিকায় সাময়িক অভিবাসন বন্ধ রাখার প্রশাসনিক নির্দেশে সই করব।

করোনাভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমেরিকার অর্থনীতির এতটাই ক্ষতি করেছে যে, দলে দলে লোকে কাজ হারাচ্ছে। রেকর্ড ২২ মিলিয়ন মার্কিনি গত মার্চে বেকার ভাতা ও অন্য সুযোগসুবিধা দাবি করেছেন, এপ্রিলের গোড়ায় আরও কয়েক লাখ এই দাবিতে সামিল হয়েছেন। অর্থাত্ বিশ্ব অর্থনীততে মহা মন্দার পর থেকে অর্জিত কর্মসংস্থানের যাবতীয় সাফল্য মুছে গিয়েছে। করোনাভাইরাসের দাপট সামলাতে যে অস্বাভাবিক কিছু পদক্ষেপ নিতে হয়েছে,তা বিরাট ধাক্কা দিয়েছে অর্থনীতিকে।

মার্চে খুচরো বিক্রিতে রেকর্ড পতন হয়েছে। ১৯৪৬ এর পর থেকে কারখানায় উত্পাদনে সবচেয়ে বড় হ্রাস ঘটেছে। অর্থনীতিবিদদের বক্তব্য, ইতিমধ্যে মন্দা গ্রাস করেছে অর্থনীতিকে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে তীব্র গতিতে তার সংকোচন হতে পারে প্রথম ত্রৈমাসিকে।




অন্যান্য তথ্য-পরিসংখ্যানও দেখাচ্ছে যে, ম্যানুফ্যাকচারিং সংক্রান্ত কাজকর্মও ১৯৮০ তে যে পতন দেখা গিয়েছিল, সেই স্তরে হ্রাস পেয়ে নেমেছে।

এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস পজিটিভের সংখ্যা আমেরিকায়, সাড়ে সাত লক্ষের বেশি। মারা গিয়েছেন ৪০৫০০ র বেশি। সেখানকার প্রদেশ ও স্থানীয় সরকার, প্রশাসন কোভিড-১৯ মোকাবিলায় লোকজনকে বাড়়িতে থাকার বা যেখানে আছেন, সেখানেই থাকার নির্দেশ দেওয়ায় ৯০ শতাংশের ওপর মার্কিনির জীবন প্রভাবিত হয়েছেন। অর্থনীতি বিপর্যস্ত।

এই অবস্থায় ওয়াশিংটনে জনপ্রতিনিধিরা ক্ষুদ্র শিল্প, হাসপাতালগুলিকে সঙ্কট থেকে উদ্ধারের জন্য সম্ভাব্য ৪৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের প্যাকেজ দেওয়া নিয়ে বিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে আজ ভোটাভুটির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন রিপাবলিকান সেনেটর মিচ ম্যাককনেল।