কলকাতা: একুশে জুলাই ফেসবুক পোস্ট করে সিপিআইএম নেতা ডঃ ফুয়াদ হালিম জানিয়েছিলেন তিনি সেল্ফ আইসোলেশনে রয়েছেন, করোনা পরীক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষা করছেন। প্রথম কয়েকটি পরীক্ষায় তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও পরবর্তীতে তিনি করোনা আক্রান্ত বলে জানা যায়। ভর্তি করা হয় দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রও। হাসপাতাল সূত্রের খবর ডঃ ফুয়াদ হালিমের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। চিকিৎসায় সাড়া পাওয়া গিয়েছে। সম্ভবত আজই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে।


আরও পড়ুন: তৃণমূলের তরুণ তুর্কি করোনা আক্রান্ত, ২৪ ঘণ্টা খবরাখবর নিচ্ছেন খোদ অভিষেক


প্রসঙ্গত, করোনাকালের একেবারে শুরু থেকেই গণস্বাস্থ্যে নিজেকে নিয়োজিত করে রেখেছিলেন প্রয়াত প্রাক্তন স্পিকার হাসিম আব্দুল হালিমের পুত্র ফুয়াদ। পিপলস রিলিফ কমিটির সম্পাদক ডঃ ফুয়াদ হালিম গোটা লকডাউনে স্বল্প ব্যয়ে গরিব মানুষদের চিকিৎসা দিয়েছেন। তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কলকতা স্বাস্থ্য সঙ্কল্পের তরফে এই অতিমারীতেও পাঁচ শিফটে ডায়ালিসিস হয়েছে। সেটাও মাত্র ৫০ টাকায়। গোটা এপ্রিল, জুন, জুলাইয়ে এই স্বাস্থ্য পরিষেবা চলেছে। শনিবার করোনা আক্রান্ত চিকিৎসক হাসপাতালের শয্যা থেকেই ফেসবুক পোস্ট করে জানিয়ে দিলেন, ডায়ালিসিস বন্ধ হচ্ছে না। গোটা অগাস্ট মাসেও গরিব মানুষদের মাত্র ৫০ টাকায় ডায়ালিসিস করাবে কলকতা স্বাস্থ্য সঙ্কল্প। ফুয়াদ লিখেছেন, “৩১/০৮/২০২০ পর্যন্ত ৫০ টাকায় ডায়ালিসিস চলবে। ২৬/০৩/২০২০ থেকে ২৯/০৭/২০২০ পর্যন্ত ৩ হাজার ১৫৪ জনের ডায়ালিসিস হয়েছে।”



দলের নেতার এই অগ্রণী ভূমিকায় অনুপ্রাণিত ছোটরাও। সৃজন ভট্টাচার্য, ঐশী ঘোষের মতো ছাত্র নেতৃত্ব ফুয়াদের ফেসবুক পোস্টের কমেন্টেই ‘কমরেড’-এর প্রতি ভালবাসা ব্যক্ত করেছেন। সৃজন লিখেছেন, “অনুপ্রেরণা জোগায় এমন নেতা। ভালবাসা। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন।”