কোল্লাম: রাতারাতি কপাল ফিরল কেরলের কোল্লামের ৪৬ বছরের এক ব্যক্তির। পেশায় লটারি বিক্রেতা। অবিক্রিত লটারির টিকিটই ভাগ্য ফিরিয়ে দিল তাঁর। রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন তিনি। জিতলেন ১২ কোটি টাকার পুরস্কার। কেরল সরকারের ক্রিসমাস-নিউইয়ার বাম্পারে এই পুরস্কার জিতলেন তিনি।
লটারির সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়নি তাঁর। আর এরপর সবিস্ময়ে শারাফুদীন নামে ওই ব্যক্তি জানতে পারলেন, যে টিকিটগুলি বিক্রি হয়নি
, তার একটিতে লেগেছে প্রথম পুরস্কার। এরপর আর খুশির ঠিকানা ছিল না পার্শ্ববর্তী রাজ্য তামিলনাড়ুর তেনকাসির বাসিন্দা শারাফুদিনের।
একটা সময় বিদেশে কাজ করতেন। সেখান থেকে ফিরে এসে লটারির টিকিটের দোকান খুলেছিলেন। তামিলনাড়ুর সীমানা সংলগ্ন কেরলেপ কোল্লাম জেলার আরয়ানকাভুর কাছে এরাভিধর্মপুরমে সরকারি জমিতে ছোট্ট একটি ঘরের বাসিন্দা শারাফুদিন। ছয়জনের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় তাঁকে। বিশেষ করে লকডাউনের সময় পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছিল।
এখন যেন হাতে চাঁদ পেয়েছেন তিনি। সংসারের অভাব পূরণ হবে বলে আশায় বুক বাঁধছেন শারাফুদিন। তিনি বলেছেন, আমি নিজের একটা বাড়ি করতে চাই। সমস্ত ঋণ শোধ করে ছোটখাটো একটা ব্যবসা করতে চাই।
সংবাদসংস্থাকে এমনই জানিয়েছেন তিনি। ২০১৩-তে রিয়াধ থেকে ফিরেছেন তিনি। সেখানে নানান ধরনের কাজ করেছেন। দেশে ফিরে আরয়ানকাভুতে লটারির টিকিট বিক্রি করতে শুরু করেছিলেন তিনি।
শারাফুদিনের বাড়িতে রয়েছেন তাঁর মা, দুই ভাই, স্ত্রী ও দশম শ্রেণীর পড়ুয়া ছেলে পারভেজ মুশারফ।
শারাফুদিন জানিয়েছেন, এর আগেও লটারিতে ছোটাখাটো পুরস্কার জিতেছেন তিনি। কিন্তু এত বিশাল অঙ্কের পুরস্কার যে পাবেন, তা কখনও স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি।
গত মঙ্গলবার তিরুবনন্তপুরমে লটারি ডিরেক্টরটে গিয়ে টিকিট জমা দিয়েছেন তিনি। ৩০ শতাংশ কর ও ১০ শতাংশ এজেন্ট কমিশন কাটার পর শারাফুদ্দিন সাড়ে সাত কোটি টাকা পাবেন।
গত বছর সেপ্টেম্বরে ইদুদ্দির ২৪ বছরের যুবক কেরল সরকারের থিরুভোনাম বাম্পারে ১২ কোটি টাকা পুরস্কার জিতেছিলেন। তিনিও খুবই দরিদ্র পরিবারের। একটি মন্দিরে করণিকের কাজ করতেন তিনি।