জামশেদপুর: সিআরপিএফ জওয়ানদের মানবিক মুখ। মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালীন গুলিতে জখম এক মহিলার জীবন বাঁচানোর জন্য রক্ত দিলেন তিন সিআরপিএফ জওয়ান। ওই মহিলা মাওবাদীর চিকিৎসা চলছে।

ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলার পুলিশ সুপার চন্দন কুমার ঝা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার খবর পাওয়া যায়, স্বঘোষিত সবা-জোনাল কম্যান্ডার কান্দে হনহাগার নেতৃত্বে ২৪ জন মাওবাদী জড়ো হয়েছে। তারা কোনও একটি পরিকল্পনা কার্যকর করতে চায়। এই খবর পেয়েই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মণীশ রমনের নেতৃত্বে অভিযান শুরু করে পুলিশ ও সিআরপিএফ-এর ১৭৪ ও ৬০ নম্বর ব্যাটালিয়টনের জওয়ানরা। তাঁরা মাওবাদীদের দু’দিক থেকে ঘিরে ফেলে আত্মসমর্পণ করতে বলেন। কিন্তু সে কথায় কান না দিয়ে মাওবাদীরা ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ ঘটায় এবং গুলি চালাতে থাকে। নিরাপত্তারক্ষীরাও পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করেন। চাপের মুখে মাওবাদীরা পিছু হঠতে থাকে। তল্লাশি চালানোর সময় নিরাপত্তারক্ষীরা দেখতে পান, এক মহিলার বাঁ পায়ে গুলি লেগেছে। তাঁকে প্রথমে সোনুয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্থানান্তরিত করা হয় চাইবাসা সদর হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জামশেদপুরের এমজিএম হাসপাতালে। এই মহিলা মাওবাদীকে রক্ত দেন এএসআই পঙ্কজ শর্মা, হেড কনস্টেবল বিচিত্র কুমার স্বোয়েন ও কনস্টেবল বীরবাহাদুর যাদব।

পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, জঙ্গলে মাওবাদীদের একটি শিবির ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরকও নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। জখম হওয়া মহিলা মাওবাদীর কাছ থেকে ৫৭ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই মহিলা জানিয়েছেন, একটি পরিকল্পনা কার্যকর করার জন্য তাঁরা ২৫ জন জঙ্গলে জড়ো হয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গীরা পালিয়ে যাওয়ার আগে রাইফেলটি নিয়ে গিয়েছে।