কলকাতা: ১০ ডিসেম্বর, ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে জে পি নাড্ডার কনভয়ের উপর হামলার ঘটনার রেশ এখনও টাটকা। সেদিন নাড্ডার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাজ্যের তিন আইপিএস অফিসারকে ডেপুটেশনে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যা নিয়ে চরমে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। এর পরিস্থিতির মধ্যেই আগামীকাল রাতে তারিখ দু’দিনের সফরে রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি অমিত শাহ।

সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, নাড্ডার কনভয়ের হামলার ঘটনা উল্লেখ করে, অমিত শাহর নিরাপত্তায় উপযুক্ত সহযোগিতা চেয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা সিআরপিএফ। স্থানীয় পুলিশকেও যাতে পর্যাপ্তভাবে মোতায়েন করা হয়, সেই আবেদন জানানো হয়েছে।

অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা, রাহুল গাঁধী, সনিয়া গাঁধী-সহ দেশের বিভিন্ন ভিভিআই নেতাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে সিআরপিএফ। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ডিজিপি-কে লেখা চিঠিতে সিআরপিএফ এ-ও জানিয়েছে, জে পি নাড্ডার নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়নি। বিজেপি সভাপতির নিরাপত্তায় যথেষ্ট খামতি ছিল। পর্যাপ্ত পুলিশ যাতে  মোতায়েন করা হয়, সেই আবেদনও করা হয়েছে চিঠিতে। এ মাসের ৯ ও ১০ তারিখ যে ঘটনা ঘটে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে সিআরপিএফ।

১০ তারিখ ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডার সভা ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে। আমতলা থেকে শিরাকোল অবরোধ করে তৃণমূল। দফায় দফায় আটকানো হয় নাড্ডার কনভয়। ইটবৃষ্টিও হয়। নাড্ডার কনভয় সহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ বিজেপির।  কয়েকটি গাড়ির কাচ ভাঙে।  সরিষার কাছে ভাঙচুর চলে যাত্রীবাসেও। আমতলা থেকে শিরাকোল পর্যন্ত রাস্তায় দফায় দফায় বাধার মুখে পড়ে কনভয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পাথর ছোড়া হয় শীর্ষ বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র গাড়িতে। উড়ন্ত বোতলের ঘায়ে বিজেপি র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গাড়ির কাচ ভেঙে আহত হন এক নিরাপত্তাকর্মী।

এই ঘটনার নিন্দা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি ট্যুইট করে বলেন, ‘নৈরাজ্য ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির রিপোর্ট পেয়ে উদ্বিগ্ন। রিপোর্টে ইঙ্গিত, পুলিশের সমর্থনেই শাসকদলের হার্মাদরা হামলা করেছে বিজেপি সভাপতির কনভয়ে।’

এই ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্টও দেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, রাজ্যপালের রিপোর্টে উল্লেখ, নাড্ডার জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তা ছিল না। রিপোর্টে রাজ্য পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ী করা হয়েছে।