মুম্বই: আজ রাত থেকে কাল ভোরের মধ্যে গুজরাত উপকূলে আছড়ে পড়তে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তওতে। যে রাজ্যগুলিতে এই ঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে, সেই রাজ্যগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফের ১০০ টি দল। সবচেয়ে বেশি ৪৪ দল মোতায়েন করা হয়েছে গুজরাতে। এছাড়াও মহারাষ্ট্রে ১২, কেরলে ৯ ও তামিলনাড়ুতে এনডিআরএফের আটটি দল মোতায়েন করা হয়েছে।
এনডিআরএফ সূত্রে খবর, প্রত্যেক দলে রয়েছেন ৪৭ জন সদস্য। প্রত্যক দলের কাছেই রয়েছে ঝড় ও বন্যার মতো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় বোট ও অন্যান্য সামগ্রী। এছাড়াও গোয়াতে একটি ও দিউতে দুটি দল মোতায়েন করা হয়েছে।
এনডিআরএফ সূত্রে খবর, ১০০ টি দলের মধ্যে ৭৯ দল এখন সমস্ত প্রভাবিত রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও রিজার্ভে রয়েছে ১৪ টি দল। সেইসঙ্গে ২২ দল গাজিয়াবাদ, ভাতিণ্ডা, ভুবনেশ্বর ও বিজয়ওয়াড়ায় ২২ দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও উপকূলরক্ষী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত কেরল, কর্ণাটক, গোয়া ও মহারাষ্ট্রে কোনও মৎস্যজীবীর নিখোঁজ হওয়ার খবর নেই। মৎস্যজীবীদের সংগঠনগুলি জানিয়েছে, সমস্ত বোটই সুরক্ষিতভাবে তীরে পৌঁছেছে।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় এনডিআরএফ, বায়ুসেনা, নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনী সমস্ত রাজ্য ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। এছাড়াও নৌসেনার দলও ত্রান ও উদ্ধার কাজের জন্য প্রস্তুত। উপকূলরক্ষী বাহিনী মৎস্যজীবীদের সুরক্ষিত অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কাজ করেছে। বায়ুসেনার ১৬ টি ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফ্ট ও ১৮ হেলিকপ্টার যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় অপারেশন-গত ভাবে প্রস্তুত।
এনডিআরএফের মোট ৫৩ টি দল মোতায়েন রয়েছে দেশের পশ্চিম উপকূলে।
ভারতীয় বায়ুসেনা সূত্রে খবর, দেশের বিভিন্ন এয়ার বেসে ১৬ টি ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফ্ট ও ১৮ টি হেলিকপ্টার যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত। এছাড়াও বায়ুসেনার আইএল-৭৬ এয়ারক্র্যাফ্টে এনডিআরএফের মোট ১২৭ জওয়ান ও ১১ টন সামগ্রী পঞ্জাবের ভাতিণ্ডা থেকে গুজরাতের জামনগরে পৌঁছে দিয়েছে।একইসঙ্গে একটি সি-১৩০ হারকিউলিস বিমান ২৫ জওয়ান ও ১২.৩ টন সামগ্রী ভাতিণ্ডা থেকে রাজকোটে পৌঁছে দিয়েছে।
নৌসেনা সূত্রে খবর, কোচির দক্ষিণ কম্যান্ড ঘূর্ণিঝড় প্রভাবিত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ শুরু করেছে। শনিবার সকালে কেরলের চেনলম জেলায় বেশ কয়েকটি গ্রামে নেভাল ডাইভিং টিম মোতায়েন করা হয়, যারা বন্যায় আটক লোকজনকে উদ্ধারের কাজ করছে। একটি স্কুলে ত্রাণশিবিরও খোলা হয়েছে।