কলাইকুণ্ডা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের বিধ্বস্ত তিন রাজ্যের জন্য ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র। ওড়িশাকে এখনই ৫০০ কোটি টাকা অর্থসাহায্য কেন্দ্রের পক্ষে করা হলেও বাকি দুই রাজ্যের ক্ষেত্রে অবশ্য তেমনটা হচ্ছে না। বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরই দুই রাজ্যকে দেওয়া হবে বাকি ৫০০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় দলের পক্ষ থেকে দুই রাজ্যের ইয়াস পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে। কলাইকুণ্ডায় প্রশাসনিক বৈঠকের পর এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ইয়াসের প্রভাবে লন্ডভন্ড ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকা এদিন আকাশপথে ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেখা করেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গেও। তারপর কলাইকুণ্ডায় এসে প্রশাসনিক বৈঠকও সারেন প্রধানমন্ত্রী। যে বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা প্রাথমিকবাবে থাকলেও জেলাসফরে ব্যস্ত থাকায় বৈঠকে হাজির ছিলেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশ্য তিনি কলাইকুণ্ডায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে আসেন।
দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যে ২০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ইয়াসের জেরে। বিস্তারিত রিপোর্ট তুলে দিয়েছি প্রধানমন্ত্রীর হাতে। জানি না কতটা কী পাওয়া যাবে। দিঘা ও সুন্দরবনের জন্য আলাদা করে দুটি ১০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজও চান তিনি। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক ট্যুইটারে লিখেছিলেন, 'ওড়িশার পরিস্থিতি এসে দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। দেশে এই মুহূর্তে ভয়াবহ কোভিড পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে, তাই এক্ষুণি কোনও আর্থিক সাহায্য চাইনি, আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা চালাব।' কিন্তু প্রশাসনিক বৈঠকের পর দেখা গেল ওড়িশার জন্যই কেন্দ্রের পক্ষে আপদকালীন ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ করা হল।
ইয়াস সামলাতে আর্থিক এই বৈষম্যের জেরে কেন্দ্রের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের নতুন কোনও টানাটানি তৈরি হয় কি না সেটাই দেখার। কারণ কিছুদিন আগেই ইয়াস পূর্ববর্তী পরিস্থিতিতে আর্থিক বন্ঠন নিয়েও কেন্দ্র-রাজ্যের অল্প বিরোধ লেগেছিল। আর্থিক বৈষম্যের ইস্যুর পাশাপাশি গতবছরের আমফানের সময়ের টাকা না পাওয়ার প্রসঙ্গও সামনে তুলে ধরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।