দিঘা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ধাক্কায় রাজ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা, এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে তিনি তুলে দিয়েছেন বলেও দিঘার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে জানান তিনি। পাশাপাশি দিঘা ও সুন্দরবনের উন্নয়নের জন্য দুটি ১০ হাজার কোটির করে প্যাকেজও রাজ্যের তরফে চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।


কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক থাকলেও হিঙ্গলগঞ্জেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর রিভিউ বৈঠকে থাকবেন না। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে দেখা করে ক্ষয়ক্ষতি ও পরিস্থিতি সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্য প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেবেন। আর দিঘার সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, '২০ হাজার কোটির ক্ষতি হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট তুলে দিয়ে বলেছি, যা ভালো বুঝবেন করবেন। জানি না কতটা কী পাব, তবে জানিয়ে এসেছি।' প্রশাসনিক বৈঠকে না থাকার প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, 'প্রধানমন্ত্রী মিট করতে চেয়েছিলেন, তাই গিয়েছিলাম। ওনাকে জানাই দিঘায় যেতে হবে। আপনার পারমিশন নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছি।'


ইয়াসের জেরে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা। দিঘা ও সুন্দরবনের উন্নয়নের জন্য আলাদা করে আর্থিক প্যাকেজও কেন্দ্রের কাছে চাওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে প্রসঙ্গে সংযোজন, 'দিঘা ও সুন্দরবনের উন্নয়নে প্যাকেজ ১০ হাজার কোটির করে প্যাকেজ।'


এদিকে আগামীকাল দিঘা ও সংলগ্ন অঞ্চলে আগামীকাল তিনি এরিয়াল সার্ভে করবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। দিঘার পাশাপাশি নন্দীগ্রাম খেজুরি এই সমস্ত অঞ্চলও তিনি ঘুরে দেখবেন বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি ইয়াসের সঙ্গে ভরা কটালের জেরে রাজ্যের একাধিক জায়গা প্রভাবিত হয়েছে বলেও জানান তিনি। আপশোসের সুরে মুখ্যমন্ত্রী ভরা কটালের জেরে কালীঘাট অঞ্চলে তাঁর বাড়ির অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি।


স্থানীয় প্রশাসনে ইয়াসের সময় কাজ নিয়েও প্রশংসা করেন তিনি। পাশাপাশি যাবতীয় পুকুর দ্রুত পরিষ্কার করার বিষয় ও পানীয় জলের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই দিকটিও নিশ্চিত করতে বলেন তিনি।