কলকাতা: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। দিঘা থেকে ৩২০ কিমি দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া বিভাগের পূর্ভাভাস, আগামীকাল বেলা বারোটা নাগাদ এই অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে । পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি প্রশাসন। বিভিন্ন জায়গায় চলছে নজরদারি, লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনার কাজ। মোতায়েন রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘৯ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা পরিস্থিতির উপর নজরদারি চলছে।ব্লকে ব্লকে কন্ট্রোলরুম খুলে নজরদারি করা হচ্ছে। ল্যান্ডফলের পরই বোঝা যাবে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পূর্ণিমার ভরা কোটালের কারণে জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৭৪ হাজার আধিকারিক ও কর্মী দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করছেন। প্রায় ২ লক্ষ পুলিশকর্মীকে কাজে লাগানো হয়েছে। আজ-কাল দুদিন টানার নজরদারি চলবে।’
মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি, ‘সুরক্ষিত জায়গায় থাকুন। ’ তিনি বলেছেন, ‘প্রয়োজন হলে সেনা নামানো হবে।সব এজেন্সির সঙ্গে কথা বলে সবাইকে তৈরি রেখেছি।’
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, কাল সকালে ওড়িশার ধামড়ার কাছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় পৌঁছে যাবে। পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, ‘বালেশ্বরের দক্ষিণ দিক দিয়ে থেকে অতিক্রম করবে ইয়াস। ২ মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর কাল ভোরের ৯০-১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৮০-৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় ও কলকাতায় ৭০-৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় হবে ঝড়ে গতিবেগ।
সাংবাদিক বৈঠকে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ‘ঝড়ের কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা আছে। উপকূলবর্তী এলাকা প্লাবিত হতে পারে। ফেরি পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। গুজবে কান দেবেন না। কলকাতায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।তবে কলকাতায় আমফানের পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কলকাতাবাসীর আমফানের মতো আতঙ্কে থাকার কারণ নেই।’