বিশাখাপত্তনম: অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা সীমানায়   বিশাখাপত্তনমের চিত্রকোণ্ডা থানা এলাকায় আজ ভোরে সিলেরু নদীতে নৌকাডুবি। এই দুর্ঘটনায়  জলে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এছাড়াও আরও আটজন নিখোঁজ। 
বিশাখাপত্তনমের পুলিশ সুপার বিভি কৃষ্ণ রাও বলেছেন, একদল পরিযায়ী শ্রমিক মাঝরাতে ওড়িশার উদ্দেশে দুটি নৌকায় করে ওড়িশার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, মাঝ নদীতে একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর নিখোঁজ আট পরিযায়ী শ্রমিক। এক শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজন কোনওক্রমে সাঁতরে পাড়ে আসতে সক্ষম হন। মঙ্গলবার ভোরে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তেলঙ্গানা সরকার রাজ্যে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউন জারি করেছে। এরপর ওই পরিযায়ী শ্রমিকরা হায়দরাবাদ থেকে ওড়িশায় তাঁদের গ্রামের উদ্দেশে  রওনা দিয়েছিলেন। 
রাও জানিয়েছেন,  উদ্ধার অভিযান চলছে এবং ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ-উভয় রাজ্যের পুলিশই নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে। 
চিত্রকোণ্ডার তহশিলদার পদ্মনাথ ডোরা বলেছেন, প্রায় ৩০ জন পরিযায়ী শ্রমিক ওড়িশার মালকানগিরি জেলার কন্ধাগুড়া ও গুন্থগুড়া গ্রামে নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসছিলেন। তাঁরা র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট এড়াতে চেয়েছিলেন তাঁরা। করোনা মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে, রাজ্যে ঢোকার ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 
তহশিলদার বলেছেন, ১৯ জন পরিযায়ী শ্রমিক তেলঙ্গানা থেকে কাজ শেষ করে একটি নৌকায় করে নিরাপদে ফিরে আসেন। কিন্তু যে নৌকায় ১১ জন পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন, সেই নৌকাটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। জলের নিয়ে একটি পোলে ধাক্কা খেয়ে নৌকাটি উল্টে যায়। এরপর যাত্রীরা ঘাবড়ে গিয়ে অন্য একটি নৌকাতে ঝাঁপ দেন। কিন্তু ওই নৌকাও উল্টে যায় এবং নদীতে ডুবে যায়। 
ওড়িশার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি দল পরে নদী থেকে এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে। তিন পরিযায়ী শ্রমিক সাঁতরে পাড়ে উঠে প্রাণরক্ষায় সক্ষম হন। কিন্তু নিখোঁজ আট জন। নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছেন পাঁচ মহিলা। নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ওই শিশুর পরিবারে লোকজন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই নদীতে আগেও এ ধরনের নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে।